চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শেষ হওয়া খালগুলোর দায়িত্ব এখনই নিতে রাজি নয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এসব খালের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটাতে জলাবদ্ধতা প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা চায় প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত চসিক-সিডিএ সমন্বয় সভায় এ কথা জানান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, খাল-নালা পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।
এ প্রকল্পের অধিন ৫টি খালের ওপর রেগুলেটর বসানো হয়ছে। যা চলতি বছরের জুনে চালু করার কথা রয়েছে। সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড থেকে প্রয়োজনীয় লোকবলের চাহিদা দিলেও, তা এখনো দিতে পারেনি কোনো সংস্থাই। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কাটাতে প্রথম বছর এসব রেগুলেটরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দিতে চান চসিক মেয়র।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ প্রস্তাবে রাজি না হলে চসিকের পরিকল্পনা কি হবে এ নিয়ে কোনও উত্তর নেই প্রতিষ্ঠানটির।
এসময় প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলী বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২২টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে যা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের পানি নদীতে গিয়ে পড়ে। আমাদের প্রকল্পাধীন ৭টি খালের কাজ শেষ। জুনে আরও ১১টি খালের কাজ শেষ হবে। এছাড়া আরও অনেক খালের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আমরা শেষ করতে পারছি না।
সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান। এবছর পুরোপুরি জলাবদ্ধতা নিরসন না হলেও আগামী বছর জলবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করতে পারবো। তবে শুধু খাল খনন করলে হবে না, কর্ণফুলীতে যদি ড্রেজিং করা না হয়, তাহলে কোনোভাবেই প্রকল্পের সুফল মিলবে না।
সমন্বয় সভায় চসিক ও সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি