ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গ্রাহকদের আস্থায় পিটুপির অগ্রযাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
গ্রাহকদের আস্থায় পিটুপির অগ্রযাত্রা ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: স্মার্ট হোম চাই, এর অর্থ এমন নয় যে বাড়ির সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলতে হবে বা বর্তমান বাড়িকে নতুন বাড়িতে রূপান্তরের লক্ষ্যে দৌড়াতে হবে নানান স্থানে।  

স্মার্ট হোমের মূল উদ্দেশ্য হলো- জীবনযাপন পদ্ধতি আরও সহজ করা, সেটি একেবারে সম্পূর্ণ অংশ হতে পারে অথবা ধাপে ধাপে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।

তবে নিজের বাড়িকে পুরোপুরি স্মার্ট করতে চাইলে তা একটু ব্যয়বহুল হবে বৈকি।

আধুনিক ও রুচিশীল মানুষের সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে ‘পরিকল্পনা থেকে পরিপূর্ণতা স্লোগানে’ চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করা করপোরেট ব্র্যান্ড পিটুপি সাফল্যের অগ্রযাত্রায় ৭ বছর পার করছে।

২০১৬ সালে যে প্রতিষ্ঠান নাগরিক সেবায় দায়বদ্ধতার অঙ্গীকার করেছিল, সেই প্রতিষ্ঠান এখন পরিণত হয়েছে মহিরুহে।

ঘর সাজানোর আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক ফিটিংস এবং বিল্ড ম্যাটেরিয়ালের সমন্বিত প্রতিষ্ঠান পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স এরই মধ্যে অর্জন করেছে গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা। পিটুপি’র কনসার্ন প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: পিটুপি ৩৬০, উইকন প্রপার্টিজ, পিটুপি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, পিটুপি ফার্নিচার, পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, ইনফিনিটি করপোরেশন এবং পিটুপি ইভেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন। জীবন সাজাতে, জীবন রাঙাতে, স্বপ্ন কিংবা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে পিটুপি।

পিটুপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম আলভী। তাঁর উদ্যোগে সম্প্রতি পিটুপি ফ্যামিলির সাথে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ (আইএবি) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, নির্মাণ ও আবাসন শিল্পে পরিবেশসম্মত ও পরিকল্পিত নগরায়নে পিটুপি ও উইকন প্রপার্টিজ আইএবি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতায় সমন্বিতভাবে কাজ করছে।  

এছাড়া পিটুপি ও এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে পিটুপির সাড়ে ৩ শতাধিক সদস্য ও কর্মী, তাদের পরিবার এবং পিটুপি’র বিশেষ গ্রাহকরা চট্টগ্রামের ওই হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা এবং অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।

নগরের মেহেদিবাগ করপোরেট অফিসে কথা হয় পিটুপি’র গ্রুপ অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার রমেন দাশ গুপ্তের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নাগরিক জীবনে আভিজাত্যের ছোঁয়া লাগছে প্রতিনিয়ত। শুরু থেকেই পিটুপি ডিজাইন বিল্ড ম্যাটেরিয়াল ও ফার্নিচারের সমন্বিত সবকিছু নিয়েই কাজ করছে। বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর সব ধরনের ফার্নিচার, লাইটিং, বাড়ি বা অফিস ডেকোরেশনের অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সামগ্রী নিয়ে সাজানো হয়েছে নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বর্গফুটের দ্বিতল আরেকটি শো-রুম পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। ঢাকায় উদ্বোধন করা হবে আরও একটি শো-রুম।

তিনি জানান, বাণিজ্য নগর ছাড়িয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিত বহুতল বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণে বিশেষ অবদান রাখছে পিটুপির প্রতিষ্ঠান ‘উইকন প্রপার্টিজ’। উইকন প্রপার্টিজ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মানসম্পন্ন দ্রুত নির্মাণ ও হস্তান্তরে নতুন বিপ্লব সূচনা করেছে যা সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছে। উইকন এই আস্থার স্থানটুকু অটুট রেখে আগামি দিনে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে চায়।  

জানা গেছে, দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি শেষে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেই আবাসন শিল্পে এসেছে ‘উইকন প্রপার্টিজ’। মূল পরিকল্পনা হচ্ছে, তারা এমন অবকাঠামো নির্মাণ করতে চান, যেখানে এক একটি ভবন পরিকল্পিত নগরের অংশ হবে। প্রতিটি প্রকল্প নগরকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়তে সহায়তা করবে। পর্যটন শহর চট্টগ্রামের সবুজ প্রকৃতি অটুট রেখে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্য শহরও এর ব্যতিক্রম নয়।

উইকন প্রপার্টিজ সারাদেশের মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ আবাসন কোম্পানি। ছয়টি বৈশিষ্ট্য অন্যদের চেয়ে তাদের আলাদা করেছে। এই বৈশিষ্টগুলো হলো- উইকনের আছে আন্তর্জাতিক মানের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টিম, পরিকল্পনাকে পরিপূর্ণতায় রূপ দিতে ৩০ জনের অধিক স্থপতি এবং ৫০ জনের অধিক প্রকৌশলীর এক বিশাল টিম কাজ করছে। উইকনের আছে ইনহাউজ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ফিনিশিং ম্যাটেরিয়ালস, আবাসিক বা বাণিজ্যিক প্রকল্পসমূহে কোনও হিডেন স্কয়ার ফিট নেই, এমাজিং ফ্লোর লে-আউট ও অনটাইম হ্যান্ডওভার, ইনহাউস লিগ্যাল ও ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট। উইকন প্রপার্টিজের এই বৈশিষ্ট্যগুলোই আবাসন শিল্পে  স্বয়ংসম্পূর্ণতা দিয়েছে, অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম করেছে। এরই মধ্যে ৩টি প্রকল্প হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন, গ্রহণ করা হয়েছে ৮টি নতুন প্রকল্প।

প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো উইকন প্রাধান্য দিয়ে থাকে তার মধ্যে প্রধান হলো-নাগরিক সুবিধা, লোকেশন, জমির পরিমাণ এবং সর্বোপরি এই প্রকল্প থেকে একজন গ্রাহককে কত বেশি সুবিধা দেওয়া যাবে। পরিকল্পিত নগরায়ণে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কি-না। আধুনিক নাগরিক সুবিধা দেওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করেই উইকন প্রপার্টিজ প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।

উইকন প্রপার্টিজ প্রতিটি প্রকল্পেই অগ্নিঝুঁকিসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। বিশেষ করে বিশ্বের সর্বশেষ আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকে প্রকল্পসমূহে। বহুতল ভবনগুলোতে প্রতিটি ফ্লোরে ফায়ার হাইড্রেন্ট, ফায়ার এস্টিংগুইশার এবং আলাদা করে টপ ফ্লোর এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরে ফায়ার ট্যাঙ্ক থাকে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ভূমিকম্প প্রতিরোধের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় উইকনের প্রকল্পগুলোতে।  

পিটুপি’র কনসালটেন্ট (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মোহাম্মদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এই সময়েও সুলভে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের বাড়ির সাজ-সজ্জা ও হোম ম্যাটেরিয়াল তুলে দিতে বদ্ধপরিকর পিটুপি ফ্যামিলি। মেহেদিবাগ ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের দুই শো-রুমে এসে টাইলস, মার্বেল ও গ্রানাইট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল-রেসিডেন্সিয়াল লাইটিং ও ইলেট্রিক্যাল সলিউশন, আন্তর্জাতিক মানের ফার্নিচার, নাইস ব্রান্ডের স্যানিটারি ও হার্ডওয়্যার প্রোডাক্ট, অ্যালুমিনিয়াম প্রোফাইল, সিলিং ও গ্লাসের কাজ, কার্টেন, কিচেন সলিউশন, থ্রিডি ওয়াল পেপার ও ওয়াল প্যানেল, লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস, বার্জার এর সহায়তায় পেইন্ট সলিউশন, অটোমেশন ও পাওয়ার সলিউশন সহ ভবন নির্মাণ এবং বাড়ি সাজিয়ে তোলার সবকিছু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ সমাধান পাবেন গ্রাহক। মিলবে এক্সপার্ট সল্যুশন ও প্রোডাক্ট কনসালটেন্সি গ্রহণ করার সুযোগও। নগরের বায়েজিদ এলাকায় পিটুপি ফার্নিচার কারখানায় আধুনিক মেশিনে গ্রাহকের পছন্দের আসবাবপত্র তৈরি হয় দক্ষ কারিগরদের তত্ত্বাবধানে। পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য ও সেবা পাচ্ছেন নগরবাসী।

পিটুপি ফ্যামিলির কর্মকর্তারা জানান, একটি বাড়ি নির্মাণের ডিজাইন থেকে শুরু করে, নির্মাণ, সব ধরনের বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস, রড, সিমেন্ট, পাথর, ফার্নিচারসহ আধুনিক ও অভিজাত জীবনযাত্রার পরিপূর্ণ সবকিছুই রয়েছে পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে। এ সেন্টারে একই ছাদের নিচেই মিলবে আধুনিক লাইফস্টাইলের সবকিছুই। এছাড়া প্রতিটি পণ্যের গুণগত মানের সর্বোচ্চ সুরক্ষা, বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য পিটুপি’র রয়েছে দক্ষ প্রকৌশল ও টেকনিক্যাল টিম।  

এদিকে নগরের মিমি সুপার মার্কেট সংলগ্ন ইকুইটি জিএফ ফরচুন মলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১০১ নম্বর শপে বৈচিত্র্যময় ও ফ্যাশনেবল পোশাকের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড স্ট্রাইপের নতুন শো-রুম যাত্রা শুরু করেছে। স্ট্রাইপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং পিটুপি ফ্যামিলির পরিচালক সাদমান সাইকা শেফা বাংলানিউজকে বলেন, স্ট্রাইপ চট্টগ্রামের নারীদের কাছে একটি জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ফ্যাশন ব্র্যান্ড। ২০২১ সালে নগরের খুলশী কনকর্ড টাউন সেন্টারে স্ট্রাইপ বড় পরিসরে যাত্রা শুরুর স্ট্রাইপ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে এবার নগরীর মিমি সুপার মার্কেট সংলগ্ন ফরচুন মলে আরও বড় ও আধুনিকরূপে স্ট্রাইপের শো-রুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ট্রেন্ড এর সঙ্গে মিল রেখে সম্পূর্ণ নিজস্ব কারখানায় অভিজ্ঞ ডিজাইনার এবং সুনিপুণ কর্মক্ষম কারিগরদের দ্বারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে তৈরি হয় প্রতিটি পোষাক।  

‘শুধু ব্যবসা নয়, সমাজ ও সমাজের জনগোষ্ঠীর কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তরুণদের নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয় প্রায়ই। আমরা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও কাজ করছি। সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে অসহায় মানুষের পাশে থাকি সেবার ব্রত নিয়ে। করোনাকালে কর্মহীন মানুষের পাশে ছিল পিটুপি’, বলেন প্রতিষ্ঠানের গ্রুপ এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার রমেন দাশ গুপ্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।