ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দাম বেশি নারিকেলের, সেমাই তৈরিতে ভয় 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
দাম বেশি নারিকেলের, সেমাই তৈরিতে ভয়  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: পিঠাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরির অন্যতম উপকরণ নারিকেল। এটি না হলেই যেন পূর্ণতা মিলে না সেমাই তৈরিতে।

শুধু পিঠা কিংবা সেমাই নয়, বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরিতেও নারিকেলের জুড়ি মেলা ভার।  

রমজান ও ঈদ সামনে রেখে পণ্যটির যেমন চাহিদা বেড়েছে তেমনি দামও বেড়েছে কয়েকগুণ।

একসময় এই নারিকেলের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলেও এখন আকাশচুম্বি। ছোট-বড় প্রতিটির দাম বেড়েছে প্রায় ৫০-৬০ টাকা।

পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দীন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট থেকে মাঝারি আকারের প্রতি একশ নারিকেলের পাইকারি দাম সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। বড় আকারের নারিকেলের দাম সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা।  

নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী থেকে পাইকারি দরে কিনে এনে খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দীন বাজারের আড়তগুলোতে বিক্রি করা হয় নারিকেল। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকেও আসে নারিকেল। প্রকারভেদে দামেরও তারতম্য হয়ে থাকে। প্রতিটি নারিকেল এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।  

ছোট, বড়, মাঝারি তিন প্রকারের নারিকেল বিক্রি হয় চট্টগ্রামের খুচরা ও পাইকারি বাজারগুলোতে। দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। নারিকেল কিনতে আসা জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, সব কিছুরই দাম বেড়েছে। সামান্য একটা নারিকেল কিনবো তাও ১০০ টাকার ওপরে। যে অবস্থায় ঠেকেছে, পিঠাপুলি খাওয়াও বাদ দিতে হবে। সেমাই তৈরিতে ভয় হচ্ছে।

ঈদ সামনে রেখে খাতুনগঞ্জে নারিকেল কিনতে আসা আখতার হোসেন নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরেই নারিকেলের দাম বেশি। একশ নারিকেল কিনতে আমাদের ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। পরিবহন ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে আরও দাম বেড়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের বেশি দামে নারিকেল বিক্রি করতে হচ্ছে।  

খাতুনগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লোকমান বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে নারিকেলের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই দামও বাড়ে। একশ নারিকেল কিনতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। গত দেড়-দুই মাস আগেও যেখানে একশ নারিকেল কিনেছি ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়, এখন তা বেড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা হয়েছে। ’ 

রিয়াজউদ্দীন বাজারের নারিকেল বিক্রেতা মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নোয়াখালী ও মিয়ানমারের নারিকেল বেশি পাওয়া যায়। তবে নোয়াখালী অঞ্চলের নারিকেল বেশ ভালো মানের। মিয়ানমারের নারিকেল কেউ তেমন কিনতে চায় না। কারণ এসব নারিকেলের বেশিরভাগই পচা। একশ নারিকেলের মধ্যে ১০টি নারিকেলও যদি পচা পড়ে, তাহলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।