ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের বুটিক হাউজ ও টেইলারিং শপে ঈদের ব্যস্ততা

সোহেল সরওয়ার, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
চট্টগ্রামের বুটিক হাউজ ও টেইলারিং শপে ঈদের ব্যস্ততা ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ঈদে বুটিক হাউজগুলোতে আসা নতুন ডিজাইনের পোশাকের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকে রুচিশীল ক্রেতাদের। তাদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে চট্টগ্রামের বুটিক হাউজগুলো সেজেছে বৈচিত্রময় পোশাকের সমাহারে।

চট্টগ্রামের নারীদের কাছে একটি জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘স্ট্রাইপ’। খুলশী কনকর্ড টাউন সেন্টারে এবং মিমি সুপার মার্কেট সংলগ্ন ফরচুন মলে স্ট্রাইপের শো-রুম।

স্ট্রাইপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাদমান সাইকা শেফা বাংলানিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ট্রেন্ড এর সঙ্গে মিল রেখে সম্পূর্ণ নিজস্ব কারখানায় অভিজ্ঞ ডিজাইনার এবং সুনিপুণ কর্মক্ষম কারিগরদের দ্বারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে তৈরি হয় প্রতিটি পোষাক। স্ট্রাইপ ব্র্যান্ডের পোশাকের মধ্যে রয়েছে- মসলিন শাড়ি, ক্রেপ শাড়ি, ডিজাইনার থ্রি পিস, টু পিস, অফিস ওয়্যার, কুর্তি এবং মেনজ পাঞ্জাবি।

বুটিক হাউজ ও টেইলারিং শপ স্টাইল টোন এর অন্যতম উদ্যোক্তা সাঈদা খানম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিশ্বমানের ফ্যাশন ট্রেন্ডকে তুলে আনার জন্য অনলাইন প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছি। পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখার জন্য ফেব্রিকগুলোর মান যাচাই করা হয়। এছাড়া অনলাইনে অর্ডারের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড় এবং পণ্যের অর্ডারের পর ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়ার সময় বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানো হয়। প্রতি অর্ডারের ক্ষেত্রেই ক্যাশ অন ডেলিভারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্রেতাদের রকমারি ও মানসম্মত পণ্য হাতে তুলে দিতে আমরা নিজস্ব ডিজাইন কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। স্টাইল টোন এর ফ্যাশন সচেতন ক্রেতাদের মন জয় করে নিয়েছে।

মিমি সুপার মার্কেটের ‘সাইমাস ক্রিয়েশন’ এর কর্ণধার সাইমা সুলতানা বলেন, আমাদের ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক এখন আন্তর্জাতিক মানের পোশাকের সমতুল্য। প্রতিবছর ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে আমাদের ডিজাইনাররা অসাধারণ কিছু ডিজাইন নিয়ে আসেন। এসব কাপড়ের চাহিদাও আছে গ্রাহকদের কাছে।

বুটিক হাউস ‘অনিন্দ্র’ এর লুৎফা সানজিদা বলেন, আগে দেশিয় পোশাকের চাহিদা ছিল বেশি। ধীরে ধীরে সেই স্থান দখল করে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তানের কাপড়। কাপড়ের দাম, শ্রমের মূল্য সবকিছুই বেড়েছে। তারপরও গ্রাহকদের কাছে অতিরিক্ত মুনাফা না করেই ভালো পোশাক তুলে দিতে আমরা সচেষ্ট।

শৈল্পিক এর এমডি এইচ এম ইলিয়াস বলেন, এখন ক্রেতারা পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে দেশিয় পোশাকের সমন্বয় দেখতে চায়। তাদের রুচির কথা চিন্তা করে বাজারে পোশাক আনতে হচ্ছে। শৈল্পিকের ১৬টি আউটলেটে (শোরুম) প্রায় ৬০০ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রামের ডিজাইনার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা, রওশন বুটিক হাউসের মালিক রওশন আরা চৌধুরী বলেন, বছরজুড়ে আমাদের লক্ষ্য পহেলা বৈশাখ আর ঈদ। এ দুটোকে কেন্দ্র করে আমাদের বিনিয়োগ করতে হয়। করোনার কারণে গত দুই বছরে অনেক অর্ডার বাতিল করেছিল।  

ফ্রেকো’র মালিক নুসরাত জাহান বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে পোশাকপ্রেমী। তাই সব পোশাক তৈরি করি ভালবাসা দিয়ে। আমার ডিজাইন করা পোশাকে সবসময় মানসম্মত ফেব্রিকস এবং মেটেরিয়ালস ব্যবহার করছি। যার ফলে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।  

এদিকে নগরের টেইলারিং শপগুলোতেও দম ফেলার ফুরসত নেই দর্জিদের। ফিট এলিগেন্স, ফেরদাউস, রেমন্ডে প্রতিদিন আসছে সেলাইয়ের কাজ।

এগার দশক ধরে চট্টগ্রামের টেইলারিং জগতে বিশেষ স্থান দখল করে আছে ‘খাজা টেইলার্স’। চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ, শিল্পপতিসহ অভিজাত শ্রেণির পছন্দ এই টেইলার্স। খাজা টেইলার্সের কর্ণধার সাহেদ সেলিম বলেন, ‘আজকের খাজা টেইলার্সের সুনামের কৃতিত্ব পুরোটাই বাবা কায়সার সেলিমের। তাঁর তৈরি করা সুনাম দিয়েই মাঝপথে ব্যবসার হাল আমরা ধরি। কাজের মান, ভালো ব্যবহার দিয়ে আমরা গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রেখেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
এসএস/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।