ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাতের ঈদ মার্কেট সেজেছে রঙিন আলোয়

সোহেল সরওয়ার, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
রাতের ঈদ মার্কেট সেজেছে রঙিন আলোয় ...

চট্টগ্রাম: ঘনিয়ে আসছে ঈদ, চলছে শেষ সময়ের কেনাকাটা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলো সেজেছে নানা রঙের আলোয়।

কেউ নিজস্ব জেনারেটরে, কেউবা পিডিবির বিদ্যুৎ দিয়েই আলোকসজ্জা করেছে মার্কেটে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা টানতে মার্কেটগুলো এভাবে সাজিয়েছেন তারা।
তবে পিডিবি বলছে, এভাবে আলোকসজ্জা না করলেও বেচাকেনা বন্ধ থাকতো না মার্কেটে। বাড়তি এই বিদ্যুতের ব্যবহার লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও।

সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ সামনে রেখে আখতারুজ্জামান সেন্টার, লাকী প্লাজা, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আমিন সেন্টার, বিপণি বিতান, সানমার শপিং সেন্টার, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, সেন্ট্রাল প্লাজাসহ অভিজাত মার্কেটগুলোতে করা হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। প্রতিটি মার্কেট যেন আলোকসজ্জায় একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রমজানের এক সপ্তাহ পর থেকে শুরু করা হয়েছে এসব মার্কেটের আলোকসজ্জা। লাকী প্লাজা, বালি আর্কেড ও আখতারুজ্জামান সেন্টারে রঙ-বেরঙের ঝাড়বাতি লাগানো হয়েছে।

আগ্রাবাদ আখতারুজ্জামান সেন্টার দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবারই মার্কেটকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এজন্য প্রায় ১০ মেগাওয়াটের জেনারেটর রয়েছে। পিডিবির বিদ্যুৎ ছাড়াই  সরাসরি জেনারেটর দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়। '

ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মার্কেট বণিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ সময় নিজস্ব জেনারেটরে আলোকসজ্জা করা হয়, যার কারণে নিরবচ্ছিন্ন থাকে আলোকসজ্জা।

চট্টগ্রামের গ্রাহকদের জন্য দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ১০৫৪ মেগাওয়াট। কিন্তু ২১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পিক আওয়ারে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড থেকে নিয়ে মেটাতে হয় চাহিদা। অথচ সরকারি-বেসরকারি এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা রয়েছে ২৩৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের।

বাংলাদেশ সময়: ২৪৩০ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
এসএস/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।