ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লায়ন্স ক্লাবের জেলা কনভেনশন, বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
লায়ন্স ক্লাবের জেলা কনভেনশন, বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ঘোষণা ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫-বি৪ এর ২৫তম বার্ষিক জেলা কনভেনশন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় শোভাযাত্রা বের হবে নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টার থেকে।

জাকির হোসেন সড়কের লায়ন্স কমপ্লেক্স পর্যন্ত যাবে শোভাযাত্রা। আগামী ২০-২২ মে টাইগারপাসের নেভি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে মূল অনুষ্ঠান।

বুধবার (১৮ মে) সিনিয়রস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রেস কনফারেন্স কমিটির আহ্বায়ক লায়ন মো. শাহেদুল ইসলাম। বক্তব্য দেন কমিটির সদস্যসচিব, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, ট্রেজারার নিশাত ইমরান। উপস্থিত ছিলেন আইপিডিজি ডা. সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রথম ভিডিজি শেখ শামসুদ্দিন আহমদ সিদ্দিকী, দ্বিতীয় ভিডিজি এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, কনভেনশন চেয়ারম্যান অশেষ কুমার উকিল, সেক্রেটারি ইমতিয়াজুল ইসলাম, লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা প্রমুখ।

লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫- বি৪ এর গভর্নর লায়ন আল সাদাত দোভাষ বলেন, ১৯১৭ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে মেলভিন জোন্সের উদ্যোগে অসাম্প্রদায়িক ও অরাজনৈতিক সেবা সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিশ্বে ১৪ লাখের বেশি লায়ন বিশ্বের কোথাও না কোথাও মানবকল্যাণে কাজ করছেন। ১৯৫৮ সালে লায়ন্স ক্লাব চিটাগাংয়ের মাধ্যমে দেশে লায়নিজমের সূচনা।  

জেলা ৩১৫-বি৪ ৮৪টি ক্লাবের মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার লায়ন সদস্য দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এ জেলার আওতায় নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম। পাশাপাশি এক হাজার লিও সদস্য ৪৩টি ক্লাবের মাধ্যমে সেবামূলক কাজে লায়নদের সহযোগিতা করছেন।  

তিনি জানান, চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনে একটি স্বতন্ত্র আই ইনস্টিটিউটের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সিএলএফ কমপ্লেক্স মাস্টারপ্ল্যান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। সাবেক জেলা গভর্নর মনজুর আলম মনজু ১০ বছর মেয়াদি ওয়ান ক্লাব ওয়ান চাইল্ড প্রকল্প চালু করেছেন। এর অধীনে ৩১টি ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতায় ৬৯ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।

১৫ উপজেলায় একাধিক চক্ষু ক্যাম্পে ২ হাজারের বেশি গরিব রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লায়ন্স স্কলারশিপ ট্রাস্ট ২০১৭ সালে ১০ জন গরিব শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার বৃত্তি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ জন, পরের বছর ৫০ জনে উন্নীত করা হয়েছে। লায়ন ডা. সুকান্ত ভট্টাচার্য নিজস্ব অফিস ভবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০২০-২১ সেবাবর্ষে সাড়ে ৮ লাখ টাকার লায়ন্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠন করেন। সাবেক জেলা গভর্নর লায়ন কামরুন মালেকের নেতৃত্বে ২০২০ সালে মা ও শিশু হাসপাতালে অক্সিজেন সুবিধাসহ ২০টি বেড স্থাপন করা হয়েছে।

লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ২টা, বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। সচ্ছল রোগীর কাছ থেকে ১৫০ টাকা নিবন্ধন ফি নেওয়া হয়। রোগীর অপারেশনে নামমাত্র মূল্য নেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।