চট্টগ্রাম: বেসরকারি একটি এনজিও কর্মী শাহাদাত হোসেনের ৮ দিন ধরে কোনো হদিস মিলছেনা বলে দাবি করেছেন পরিবার।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ওই কর্মীর সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ এনজিও কর্মী শাহাদাতের ভগ্নিপতি আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন বলেন, গত ২৪ মে রাতে রহস্যজনকভাবে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের রওশন হাট থেকে নিখোঁজ হন বেসরকারী ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা প্রত্যাশীর ফিল্ড অফিসার শাহাদাত। নিখোঁজের দুদিন পর শাহাদাতের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্ট করে।
তিনি বলেন, এ নিয়ে ২৫ মে চন্দনাইশ থানায় জিডি করা হলেও এখনো হদিস মিলেনি নিখোঁজ শাহাদাতের। জিডি করার পর পুলিশ দুই একদিন তৎপরতা দেখালেও এর পর রহস্যজনক কারণে নিরব হয়ে যায়। বর্তমানে শাহাদাত বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে তাও নিশ্চিত নই। শাহাদাত নিখোঁজের পর ম্যানেজারের কথা বার্তায় মনে হচ্ছে এর পিছনে তাঁর হাত রয়েছে।
নিখোঁজ শাহাদাতের ভাই রিয়াদ উদ্দিন সাইমুন বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর শাহাদাতের ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলটিও প্রত্যাশী অফিসে রয়েছে এবং চলতি মাসের বেতনও পাওনা রয়েছে।
সুমন বলেন, নিখোঁজ হওয়ার কথা মোবাইল ফোনে ম্যানেজার তাদেরকে (পরিবার) ২৪ মে রাতে জানান। মাঠ পর্যায়ে কোনো সদস্যের সঙ্গে কোনো ধরনের ঝামেলাও ছিলনা শাহাদাতের। থানায় দায়ের করা জিডিতেও কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের বিষয় উল্লেখ করেনি প্রত্যাশী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিখোঁজের দুদিন পর শাহাদাতের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্ট দেওয়ার পর ম্যানেজারের কথার ধরণ পাল্টে যায়। ম্যানেজার দাবি করছেন, শাহাদাতের কাছে প্রত্যাশী কর্তৃপক্ষ দুই লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এতে করে আমাদের ধারণা ম্যানেজারের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ম্যানেজার শাহাদাতকে গুম করিয়েছে।
গত তিন বছর ধরে প্রত্যাশী এনজিওতে চাকুরি করে আসছিল শাহাদাত। এদিকে নিখোঁজের পর ৮ দিন অতিবাহিত হলেও শাহাদাতের কোন হদিস না পাওয়ায় সন্তানের শোকে বাকরুদ্ধ শাহাদাতের মা-বাবা।
সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাতের পিতা বদিউল আলম ছেলেকে ফেরত পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
এসময় শাহাদাতের ভাই রিয়াদ উদ্দিন সাইমুন, মা ফাতেমা আক্তার, নিখোঁজ শাহাদাতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পরিবারের উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা মে ৩১, ২০২২
এমআর/টিসি
