ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উন্নত বাংলাদেশে যেতে হলে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
উন্নত বাংলাদেশে যেতে হলে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

চট্টগ্রাম: আমি শিক্ষা খাত নিয়ে খুবই আগ্রহী। শিক্ষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন। আর সেই উন্নত বাংলাদেশের রূপকার হলেন আপনারা।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আজকে আপনারা যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন তাদের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ ভালো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনেক সুন্দর ও সহজ হয়ে উঠবে।

মঙ্গলবার (৩১ মে)  সকাল ১০টায় সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। SDG4SF, ESP এবং 8th FYP -এ শিক্ষা সেক্টর সম্পর্কে নির্দেশিত নীতি ও কৌশল সম্পর্কিত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও কর্মপ্রক্রিয়া গ্রহণে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে গণসাক্ষরতা অভিযান ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের আয়োজনে এবং স্থানীয় আয়োজক সংস্থা জেএসইউএস’র ব্যবস্থাপনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
 
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টশন ওয়ার্কসপে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর হোসাইন আহমেদ আরিফ এলাহী, বিভাগীয় উপপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা) ড. মো. শফিকুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি আ ন ম তরিকুল ইসলাম। যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার জেএসইউএস) নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমীন পারভীন, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের চিফ অব এডুকেশন হুহুয়া ফেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।  

প্রধান অতিথি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের ব্যাপারে ভাবতে হবে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশে যেতে হলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

উন্নয়নসংগঠক জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় দু-পর্বের কর্মশালার প্রথম পর্বে মূল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সাবেক সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, কনসালটেন্ট ড. জিয়াউস সবুর এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের ডেপুটি ডিরেক্টর কেএম এনামুল হক।

কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে দলভিত্তিক কাজের উপস্থাপনা শেষে ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার শিরিন আক্তার এবং জেএসইউএস ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা সাঈদুল আরেফীন ধন্যবাদ বক্তব্য দেন।

এসডিজি ঘোষণার অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০৩০-এর মধ্যে এ লক্ষ্যসমূহ অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এসডিজি’র সফল বাস্তবায়নের জন্য লক্ষ্য ৪- সবার জন্য একীভূত এবং সাম্যভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ প্রসারকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা পরিকল্পনা ও শিক্ষা প্রকল্প নিতে হবে। তাহলে প্রকৃত শিক্ষায় সুশিক্ষিত এবং দক্ষ জনগোষ্ঠীই পারবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে এবং জাতিসংঘে গৃহীত এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যে অর্জনে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।