চট্টগ্রাম: এমনিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই ওয়ার্ডে। তারপর জোড়াতালিতে চলছে চিকিৎসা।
বলছি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কথা। সাধারণ সময়ে এ ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি থাকে অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে রোববার (৫ জুন) ভর্তি হয় দ্বিগুণেরও বেশি দগ্ধ রোগী। এতে কিছুটা অসুবিধায় পড়েন চিকিৎসকরা। তবে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে পারলেও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে কী হবে এ নিয়ে সন্ধিহান কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাগজে-কলমে মাত্র ২৬ শয্যার এ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ১২০ রোগী। এর মধ্যে শুধু ৫২ জন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগী। নতুন যুক্ত হওয়া এসব রোগীর মধ্যে মাত্র ৮ জনের সৌভাগ্য হয়েছে বার্ন ইউনিটের ভেতর চিকিৎসা নেওয়ার। তাদের সবাই মেঝেতে। অন্যদিকে বাকি ৪৪ জন আছেন গাইনী ওয়ার্ডে। যদিও বার্ন ইউনিট থেকে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এমন অগ্নিকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে ধাক্কা সামাল দেওয়া গেলেও এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নতুন করে আলোচনায় চট্টগ্রামে আলাদা বার্ন ইউনিট প্রসঙ্গ।
চট্টগ্রামে নতুন বার্ন ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বার্ন ইউনিট স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শুনেছি। কিন্তু অগ্রগতি কতদূর তা আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, এ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে যা আছে তা দিয়েই যুদ্ধ করেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্যই সহযোগিতা আছে। কিন্তু স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগী রাখতে হয়েছে গাইনী ওয়ার্ডে।
চমেক হাসপাতালে পরিচালক বি. জেনারেল শামীম হাসান বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো।
নতুন বার্ন ইউনিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বার্ন ইউনিটটি স্থাপনের অগ্রগতি আছে। এই মধ্যে জায়গাও শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। যেহেতু আমি নতুন যোগদান করেছি খুব বেশি তথ্য আমার জানা নেই। তাই পুরো অগ্রগতি জানতে একটু সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২ ৩১ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
এমআর/টিসি