ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫ কোটি টাকার বিল জালিয়াতি, বহাল তবিয়তে অভিযুক্ত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
৫ কোটি টাকার বিল জালিয়াতি, বহাল তবিয়তে অভিযুক্ত  ...

চট্টগ্রাম: জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউর বিল জালিয়াতির ঘটনার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অভিযুক্ত ফোরকানকে হাসপাতালের আর্থিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে দায় সেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

তবে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে কর্তৃপক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।  

নাম প্রকাশ না করা শর্তে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি টিম চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে গেছেন।

সেখানে মামলা করা হবে। মামলার আসামি কে হচ্ছেন তা জানাতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।  

এদিকে, জালিয়াতির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়। এতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহকে সভাপতি ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়াকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীকে।

কমিটি গঠনের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বাংলানিউজকে বলেন, একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ২০১৩-১৪ অর্থবছরের মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক সরবরাহকৃত ৮টি আইসিইউ বেড, ৮টি ভেন্টিলেটর ও ১টি কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটরের বকেয়া বিল বাবদ ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার ব্যয় মঞ্জুরি আদেশ জালিয়াতির মাধ্যমে ছাড়করণের চেষ্টা হয়।  

মঙ্গলবার জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ফোরকান এ বিল ছাড় করার চেষ্টা চালান। বিষয়টি ধরা পড়ায় বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে মো. ফোরকানকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক সরবরাহকৃত ৮টি আইসিইউ বেড, ৮টি ভেন্টিলেটর ও ১টি কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটর কেনাকাটা নিয়ে দুদকে আগে থেকেই মামলা চলমান রয়েছে। মামলা থাকায় এর বিলও আটকে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।