ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গো-খাদ্যের মৌসুমি ব্যবসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২২
গো-খাদ্যের মৌসুমি ব্যবসা ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: কেউ ছিলেন রিকশা-টেক্সিচালক, কেউবা ভ্রাম্যমাণ দোকানি। সবাই এখন ব্যস্ত গো-খাদ্যের মৌসুমি ব্যবসায়।

কোরবানির পশুর জন্য এসব উপকরণের চাহিদা থাকায় বিক্রিও চলছে বেশ ভালো।

শনিবার (৯ জুলাই) নগরজুড়ে দেখা গেছে গাছের গুঁড়ি, শুকনো ও কাঁচা ঘাস, চাটাই, ভূসি, গরু-ছাগল সাজাতে ঝুনঝুনি, জরির ফিতা, মালাসহ নানান সামগ্রী বিক্রির জমজমাট ব্যবসা।

গত ৩-৪ দিন ধরে গরুর হাট বসার পরপরই মৌসুমি বিক্রেতারা গ্রামাঞ্চল থেকে গো-খাদ্য নিয়ে এসেছেন শহরে। তারা বলছেন, এসময়ে এসব জিনিসের দরকার। অন্য কাজে ফায়দা হবে না। তাই কিছু টাকা পুঁজি দিয়ে কয়েকদিনের জন্য ব্যবসা করার চেষ্টা।

নন্দনকানন এলাকায় ফুটপাতে চেয়ার-টেবিল নিয়ে গো-খাদ্য বিক্রি করছেন সাফায়েত ও আমিন। তারা বাংলানিউজকে বলেন, মিনি ট্রাকে শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস, ডালের ভূসি, ধানের কুড়া, গমের ভূসি, ভুট্টার ভূসি, চালের খুদ, গাছের গুঁড়ি ও চাটাই নিয়ে এসেছি। বিক্রি মোটামুটি চলছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত বিক্রি হবে।  

চকবাজার এলাকার টেক্সিচালক মানিক মিয়া জানান, শহরে এখন মানুষ কম। ভাড়া পাওয়া যাবে না। সবাই গ্রামে চলে গেছে। তাই এই ব্যবসা করছি। একেকটা জিনিসের একেকরকম দাম। এক কেজি কুড়া ২০ টাকা, লবণ ২০ টাকা, চালের খুদ ৩৫ টাকা, ডালের ভূসি ৫৫ টাকা, ভূট্টার ভূসি ৬০ টাকা, গমের ভূসি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকার ফল ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম বলেন, ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা করছি। বড়-ছোট ও মাঝারি আকারের চাটাই এনেছি। একেকটির দাম দাম ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত।

ষোলশহর এলাকার চা-দোকানি সুমন মিয়া বলেন, মাংস কাটতে গাছের গুঁড়ি দরকার হয়। বিভিন্ন আকারের এসব গুঁড়ি তিনি বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ২৫০ টাকায়। এছাড়া শুকনো খড় এক আঁটি ৫০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা ঘাস ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

ক্রেতারা দরদাম করে কিনছেন এসব গো-খাদ্য। বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়জুন নবাব বাংলানিউজকে বলেন, ‘১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় গরু কিনেছি বিবিরহাট বাজার থেকে। ছেলেরা শখ করে মালা কিনে পরিয়ে দিয়েছে গরুর গলায়। এখন কিনতে হবে চাটাই, ভূসি আর গাছের গুঁড়ি। ছুরি আগেই কিনে রেখেছি’।

নগরের বক্সিরহাটে কাগজের মালা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। জরির মালা ৩০ থেকে ২০০ টাকা, কাপড়ের মালা ১০০ থেকে ২০০ টাকা, ঝুনঝুনির মালা ১০০ থেকে ২০০ টাকা।

বেসরকারি চাকরিজীবী মনজুর মোরশেদ অক্সিজেন এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, গরুর দাম বেশি। তাই ছাগল কোরবানি দেবো। নাতি-নাতনিকে আনন্দ দিতে ছেলেরা ছাগলের গলায় ঝুনঝুনি বেঁধে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।