ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাহাজে দৈত্যাকার ‘পাখা’ এলো চট্টগ্রাম বন্দরে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২
জাহাজে দৈত্যাকার ‘পাখা’ এলো চট্টগ্রাম বন্দরে কক্সবাজার বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের উইন্ড টারবাইনের পাখা এলো চট্টগ্রাম বন্দরে।

চট্টগ্রাম: দেশের সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে বড় কক্সবাজারের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের টারবাইনের দৈত্যাকার পাখাসহ বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতির প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।  

শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে এসব সরঞ্জাম নিয়ে কসকো শিপিং লাইনের ‘শিন ডা জং’ নামের জাহাজটি বন্দরের জিসিবি-৬ জেটিতে ভিড়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে নিয়ে আসেন চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব পাইলট নুরুল আলম। এ কাজে সহায়তা করে বন্দরের শক্তিশালী টাগ বোট কাণ্ডারী-৮ ও ১২।
 

জাহাজটির লোকাল এজেন্টের চেয়ারম্যান রিয়াজউদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, এ জাহাজটি চীন সরকারের মালিকানাধীন একটি জাহাজ। এটিতে কক্সবাজারের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম চালানের টারবাইনের পাখাসহ ৯০০ টন যন্ত্রপাতি এসেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডেঞ্জারাস কার্গো রয়েছে।  

সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ খুরুশকূল ইউনিয়নের পল্লানখালী এলাকায় এ প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন করেন  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের খুরুশকুল, পিএমখালী, চৌফলদণ্ডী ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নে ২২টি উইন্ড টারবাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার এ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এটিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প। এর আগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় ছোট্ট পরিসরে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে ৯০০ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে তা ২০০ কোটি বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। খুরুশকুলের এই প্রকল্প ছাড়াও কক্সবাজারের ইনানীতে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইউএস ডিকে গ্রিন অ্যানার্জি লিমিটেড।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুকিত আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আশা করছি সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে।  

তিনি বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একেকটি উইন্ড টারবাইন প্রায় ৫০০ ফুট উঁচু। একেকটি পাখার দৈর্ঘ্য ২০০ ফুটের বেশি। ২২টি উইন্ড টারবাইনের প্রতিটিতে ৩টি করে পাখা থাকবে। এর আগেও এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কিছু সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি বন্দর দিয়ে এলেও পাখার চালান এটিই প্রথম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।