চট্টগ্রাম: জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেছেন, অধিকাংশ জায়গাই সরকারি খাস জমি। পাহাড়খেকো ইয়াসিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বেশ অনেকদিন যাবৎ পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জঙ্গল সলিমপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কুখ্যাত পাহাড়খেকো সন্ত্রাসী ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জেলহাজতে আছে। তার সাঙ্গপাঙ্গ যারা আছে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেককেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং পাহাড় কেটে যে অপরাধ তারা করেছে এবং অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে, এজন্য তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, এখানে বিভিন্ন সরকারি দফতর স্থাপিত হবে। এই এলাকাটি চমৎকার একটি এলাকায় পরিণত হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা এটি বাস্তবায়ন করে ছাড়বো।
তিনি বলেন, এখানে কাজের ব্যপ্তি অনেক বেশি। অনেক এলাকা জুড়ে অবৈধ স্থাপনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসব জায়গায় কাজ করতে হলে প্রত্যেক বাহিনীর সহযোগিতা লাগবে। এখানে জেলা পুলিশের ৬০ সদস্য ও র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা এসেছেন।
বর্তমানে নিরাপত্তা চৌকিতে ৮ জন সদস্য আছে। এর বাইরে এখানে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও একটি র্যাবের ক্যাম্পের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছি। জেলা প্রশাসন চূড়ান্তভাবে জায়গা দিলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ ক্যাম্প বিশালাকারে স্থাপন করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
বিই/টিসি