ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খালাসের পরও ৭ বছর কাশেমের মুক্তি পরোয়ানার বিষয়ে শুনানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২২
খালাসের পরও ৭ বছর কাশেমের মুক্তি পরোয়ানার বিষয়ে শুনানি প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জানে আলম হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাসের পরও সাত বছর ধরে কনডেম সেলে থাকা আবুল কাশেমের মুক্তি পরোয়ানার বিষয়ে শুনানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় মোহাম্মদ সরওয়ার আলমের আদালতে শুনানি হয়।

আবুল কাশেম, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।

আবুল কাশেমের বিষয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়য়টি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এরপর আদালত বলেন, আপনি লিখিত আবেদন করুন। আজকে করেন। তখন শিশির মনির বলেন, জ্বি মাই লর্ড, একটু পর আবেদন করে নিয়ে আসছি। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। পরে লোহাগাড়ায় জানে আলম হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাসের পরও সাত বছর ধরে কনডেম সেলে থাকা আবুল কাশেমের মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাটির বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আগামী রোববার এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।

একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে আসলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠান।  সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম।  আবুল কাশেমের ছেলে ইফতেখার হোসেন নোহাশ বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। একটি মামলা ছিল, সেটাতে জামিন ছিলেন। আমার বাবার মুক্তি চাই।

আবুল কাশেমের আইনজীবী সেলিম উল্লাহ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামি আবুল কাশেমের পক্ষে রিলিজ বন্ড ইস্যু করার আবেদন শুনানি হয়েছে। আবুল কাশেম সংশ্লিষ্ট মামলায় ২০১৩ সালেই খালাস পেয়েছেন। কিন্তু উক্ত রায়ে করণিক ভুলের কারণে রায়ের অপরেটিভ অংশে আবুল কাশেমের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় গত ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সম্পূরক আদেশে আবুল কাশেমকে খালাস প্রদানের বিষয়ে সুস্পষ্ট আদেশ দেন। আসামি আবুল কাশেমের খালাসপ্রাপ্তির বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়। আবুল কাশেম খালাস পাওয়া মামলায় কনডেম সেলে আছেন যা মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমার কাছে খালাস প্রাপ্তির বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের সইমুহুরী নকল আছে। আদালত আগামী ৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad