ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধুর দুয়েকজন খুনিকে শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর দুয়েকজন খুনিকে শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মধ্যে দুয়েকজনকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষির্কী উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দুয়েকজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিলো, কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।  

মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের সেই ত্যাগের প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধের সরকারি ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা মোকাবিলা করছেন। ২১ আগস্টের বোমা হামলা আপনারা দেখেছেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মহান রব্বুল আলামিন বাঁচিয়েছেন, বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। বঙ্গবন্ধু যেটা করে যেতে পারেননি, সেটা মহান রব্বুল আলামিন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মাধ্যমে করিয়েছেন। অল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু জাতিকে সংবিধান উপহার দিয়েছেন। একজন একজন করে হারিয়ে যাচ্ছি। আগামী ১০ বছরে ৬০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা হারিয়ে যাবেন। আমরা সারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছি, সেটা প্রমাণ করতে একটি সমাবেশ করব। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছেন, যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আবার বঙ্গবন্ধু কন্যার ডাকে আজকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবধরনের সহযোগিতা করছি। এই দেশ হলো হিন্দু, মুসলামন, বৌদ্ধ খ্রিষ্টানের দেশ। এই দেশে সবাই স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সবকিছুতে সমান অধিকার পাবে। অনেকেই ইতিহাস বিকৃত করে অনেক কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুর নামটাও মুছে ফেলার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন৷ আমরা অনেক দৃশ্য দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দৃশ্য কোনো দিন ভুলতে পারবো না। ১৫ আগস্টের কথা কোনো দিন ভুলবো না। কী অপরাধ করেছিলো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা। এসব কিছুর আজকে হিসাব নিকাশের সময় এসেছে। কারা এর সুবিধাভোগী? বঙ্গবন্ধুকে খুন করে খুনি, কুলাঙ্গাররা বাংলাদেশকে অন্ধকারের জগতে ডুবিয়ে দিয়েছিল।  

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহাগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রাশেদুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।