ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাক্ষরতার হার বাড়াতে সরকার আন্তরিক 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
সাক্ষরতার হার বাড়াতে সরকার আন্তরিক  ...

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও সরকারের উপ-সচিব মো. বদিউল আলম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঝরে পড়া রোধ, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে যথেষ্ট আন্তরিক।  

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে তারা আবারও পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় আগের তুলনায় সাক্ষরতার হার অনেক বেড়েছে। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করলে ২০৩০ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত হবে।
এজন্য সবাইকে শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে দেশ উন্নত হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ হবে।  

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার। যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ও গণস্বাক্ষর অভিযানের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস ও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়।  

সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজ্ঞা, মেধা আর দূরদর্শিতা দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ মুক্ত করার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধু দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা দেন। সাক্ষরতা বিস্তারে আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। প্রতিটি শিশু ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর কাছে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দিতে সরকারের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশকে উন্নয়নের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে জনসম্পদে পরিণত করা অতীব প্রয়োজন।   

স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জুলফিকার আমিন বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে দেশে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। তখন আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। এ দিনে ঠাকুরগাঁওর কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদেশে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষতামুক্ত গ্রাম ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সাক্ষরতা সমিতি গঠনের মাধ্যমে ১৮টি জেলায় গণশিক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয় এবং এ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৮ হাজার নিরক্ষরকে সাক্ষরতার জ্ঞান দেওয়া হয়।

দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন পিটিআইর সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. জয়নাল আবেদীন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিটন কুমার বড়ুয়া, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের থানা প্রোগ্রাম ম্যানেজার চন্দন কুমার বড়ুয়া, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী ইয়াসমিন পারভীন, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আকতার, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী রিংকু শর্মা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।