চট্টগ্রাম: মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ভোলা ও নারায়ণগঞ্জের পর আজ মুন্সীগঞ্জের সমাবেশে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরিয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিবিদ্ধ করার প্রতিবাদে নগরের কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, আবারো বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করার লক্ষ্যেই মুন্সিগঞ্জের সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক অমানবিক নিপীড়ন নির্যাতনেরই অংশ। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। হামলা, মামলা, খুন ও গুম করে আন্দোলন দমন করা যাবে না।
তিনি অবিলম্বে সমাবেশে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় অচিরেই সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগের মনে ক্ষমতা হারানোর ভয় চেপে বসেছে। তাই তারা জনগণের প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে প্রশাসনের সহায়তায় সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দিয়ে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। মামলা, হামলা, নির্যাতন যত বাড়বে ফ্যাসিষ্ট সরকারের আয়ু কমে আসবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তত বেশি শক্তিশালী হবে। বিএনপিকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না। অচিরেই গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, সদস্য কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সাবেক বিএনপি নেতা আবদুল বাতেন, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, হাসান মাহমুদ জুয়েল ও আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
এমআই/টিসি