ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ড্রামে ভরে ফেলে দেয় স্বামী 

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ড্রামে ভরে ফেলে দেয় স্বামী  ...

চট্টগ্রাম: মেহেদির রং মুছে যাওয়ার আগেই প্রাণ হারাতে হয় নববধূকে। দুই মাস আগে মামাতো বোন আতিয়া আক্তারকে (১৮) বিয়ে করেছিল সোহানুর রহমান।

গত ১৩ অক্টোবর নগরের পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা ড্রামভর্তি অজ্ঞাত নারীর মরদেহের এই পরিচয় পেয়েছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আতিয়ার স্বামী সোহানুরকে (২২) বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিক ও লিটন নামের আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

পতেঙ্গা থানার ওসি আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর জানান, স্ত্রী আতিয়াকে নিয়ে নগরের পতেঙ্গা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সোহানুর। স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে ১১ অক্টোবর রাতে সোহানুর আতিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। আতিয়ার বাবার নাম আতাউর রহমান।  

জিজ্ঞাসাবাদে সোহানুর পুলিশকে জানিয়েছে, আতিয়াকে হত্যার পরদিন সকালে সোহানুর তার বন্ধু রুবেল ও আশিককে বাসায় ডেকে আনে। তাদের সহযোগিতায় মরদেহ একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে তার কর্মস্থল পতেঙ্গার একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গুদামে নিয়ে রাখে। ১৩ অক্টোবর রাতে গুদাম থেকে ড্রামভর্তি মরদেহ সিএনজি অটোরিকশায় তুলে পতেঙ্গা কালীবাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এজন্য অটোরিকশা চালক লিটনকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর সোহানুর কুমিল্লা চলে যায়।

ড্রামভর্তি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, সোহানুর গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি যাওয়ার কথা বলে ছুটি নিয়েছিল। হঠাৎ ছেড়ে দিয়েছিল ভাড়া বাসা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।