ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে চারটি সেতু খুলছে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে চারটি সেতু খুলছে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ...

চট্টগ্রাম: ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের চারটি সেতুর তিনটি চলতি ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। কাজ শেষ হলে আরেকটি খুলতে পারে জানুয়ারিতে।

 

৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের এই চার পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের সংযোগ সড়কসহ ৮৬ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

সেতু চারটি চালু হলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু মাল্টিলেন রোড টানেলের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো গতি বৃদ্ধি পাবে।

এতে মহাসড়কে অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক জ্যাম অনেকটাই হ্রাস পাবে।

সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অধীনে তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, যশোর ও খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কে মোট ১৭টি অত্যাধুনিক পিসি গার্ডার সেতু, সাতটি বড় বক্স কালভার্ট ও প্রায় ১২ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চারটি ছয় লেনের বৃহৎ সেতু ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট তিনটি বক্স কালভার্টসহ ১৭টি সেতু, সাতটি বড় বক্স কালভার্ট ও প্রায় ১২ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। এই অংশে মোট ব্যয় হচ্ছে ৭৫১ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নির্মাণাধীন চারটি ছয় লেনের সেতু হচ্ছে- মহাসড়কের পটিয়া ইন্দ্রপোল সেতু (৬০ মিটার লম্বা ও পাশে ৩১ দশমিক ২০ মিটার), চন্দনাইশের বরুমতি সেতু (৬০ দশমিক ১৫ মিটার লম্বা ও পাশে ৩১ দশমিক ২০ মিটার), একই উপজেলার সাঙ্গু নদীর ওপর সাঙ্গু সেতু (২৩৮ মিটার ও পাশে ৩১.২০ মিটার) এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ওপর মাতামুহুরী সেতু (লম্বায় ৩২১ মিটার ও পাশে ৩১.২০ মিটার)।

প্রকল্পে নিয়োজিত ঠিকাদারের প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, এ প্রকল্পের সাঙ্গু, বরুমতি ও কক্সবাজারের মাতামুহুরী সেতুর কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে চলতি ডিসেম্বরে। পটিয়ায় চাঁনখালী খালের ওপর ইন্দ্রপোল সেতুর কাজ শেষে জানুয়ারিতে খুলে দেওয়া হতে পারে। এ চারটি বৃহৎ সেতুসহ তিনটি বক্স কালভার্ট নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ ভাগ ছাড়িয়েছে।

একই প্রকল্পের অধীনে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কে ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি ছোট-বড় সেতু, আটটি কালভার্ট এবং সংযোগ সড়কের কাজ রয়েছে। ওই অংশের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, এখন চলছে সংযোগ সড়কের কাজ।  

ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের পিডি প্রকৌশলী শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য জানান, প্রকল্পটির কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৭৫ ভাগ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ আছে। এর মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে।

২০১৮ সালে ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে প্রায় দুই বছরের অধিক সময় বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।