ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদীর গুজরাট উন্নয়নের আইকন ‘গিফটসিটি’

মান্নান মারুফ ও ইশতিয়াক হুসাইন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
মোদীর গুজরাট উন্নয়নের আইকন ‘গিফটসিটি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গিফটসিটি (গুজরাট), ভারত থেকে: শহরের ভেতর শহর। সেও কি সম্ভব! কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করা হয়েছে যেন।

যে শহরের গোড়াপত্তন হয়েছে বেশিদিন হয়নি, তারই গর্ভ থেকে যেন বেরিয়েছে আরেকটি শহর।

আর এই শহরের গোড়াপত্তনকারী ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজে চার চারবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালেই এই শহর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং তা বাস্তবায়নও করেছেন। গান্ধীনগর থেকে গিফটসিটির দূরত্ব ১২.৪ কিলোমিটার।

গুজরাট যদি নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের মডেল হয়ে থাকে তবে সেই মডেলের প্রধান আইকন ‘গিফটসিটি’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একান্তই নিজস্ব পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসা উন্নয়ন প্রকল্পের অন্যতম ফসল এই সিটি। মোদীর উন্নয়নের আইকন নতুন এই সিটির প্রধান আকর্ষণ ‘গিফটওয়ান টাওয়ার’। প্রথম টাওয়ারের অনুপ্রেরণাতেই পাশেই তৈরি হয় ‘গিফটটু টাওয়ার’। পাশাপাশি এই দুটি টাওয়ার মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ারের কথা মনে করিয়ে দেয়।

কি নেই এই টাওয়ারে! আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক এবং ভারতের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ইউনিট, শপিং মল, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সার্ভিস ইউনিট হিসেবে গিফট টাওয়ারদ্বয় ব্যবহৃত হচ্ছে।  

গুজরাট উন্নয়নের প্রধান স্তম্ভ এখন গিফট টাওয়ারদ্বয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সাবারমতি নদী পার হলেই এই সিটির সীমানা শুরু। নদীর ওপরে সেতুটি অতিক্রম করলেই চমৎকার নতুন সড়ক, যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকেই শুরু গিফটসিটির।

এখানে সড়কের দু’পাশ দিয়ে অসংখ্য সারি সারি ফুল গাছ। লাল, হলুদ গোলাপি ফুলে শহরটি স্বপ্নের মতো সেজেছে। মূল রাস্তার একটু দূরে রয়েছে সারি সারি খেজুর গাছ। শহরের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকতে নিরাপত্তা চৌকি পার হতে হয়। পরিচয় দিয়ে ঢুকে গেলাম মোদীর স্বপ্নের শহর গিফটসিটিতে।   

চার বর্গকিলোমিটারের এই শহরের বুক জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গিফট সিটি টাওয়ার দুটি। গাঢ় নেভী ব্লু রংয়ের টাওয়ার দুটির রং অভিন্ন। তবে গিফটটু ভবনের ব্লু নীলের মাঝে মাঝে সাদা ডোরাকাটার মতো রয়েছে।

চারিদিকে ফুলে শোভিত ভবন দুটি কাঁচে ঘেরা। গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি (গিফট) থেকেই গিফটের নামটি আসে। ভবন এর আশপাশের এলাকা ৮৮৬ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। মূলত উন্নতমানের বৈদ্যুতিক, পানি, গ্যাস, ডিস্ট্রিক্ট কুলিং, সড়ক, টেলিযোগাযোগ এবং ব্রডব্যান্ড সুবিধা দিতেই এই শহরের জন্ম। স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন জোন, এন্টারটেইনমেন্ট জোন, হোটেলস জোন, কনভেনশন সেন্টার রয়েছে এই সিটিতে।  

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে গভ:মেন্ট অব গুজরাট, গুজরাট আরবান ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড এবং ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার লিজিং অ্যান্ড সার্ভিসেসের যৌথ উদ্যোগে ‘গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক সিটি কোম্পানি লিমিটেড’ গঠন করেছে।

সিটির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। গিফটওয়ান টাওয়ারের অদূরেই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। গিফটটু টাওয়ারের পেছনের দিকেও চলছে কাজ। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করছেন দিনরাত।

এর পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে ৭০ হাজার কোটি রুপি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ভবন দুটির ২৯ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। দেশি-বিদেশি ৮টি কোম্পানি এই সিটির টাওয়ার নির্মাণে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে।  

অচিরেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। এতে গিফট ডায়মন্ড টাওয়ার, গিফট গেটওয়ে টাওয়ার্স, গিফট ক্রিস্টাল টাওয়ার্স, গিফট কনভেনশন সেন্টার নির্মিত হবে। কনভেনশন সেন্টারে ১০ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি নির্মিত হচ্ছে ৬৫ হাজার স্কয়ার ফিটের ওপর।

** চকচকে পরিপাটি ‘গান্ধীনগর’
** আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
** ঘুরে আসি আজমীর
** দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই!
** দিল্লির রাতে সস্তা দোকানিরা...

** মাকরানার হোয়াইট মার্বেলেই অনিন্দ্য তাজমহল

** দিল্লির আশীর্বাদ দিল্লি মেট্রো,ঢাকা মেট্রো কবে

** অ্যারাভেলি পর্বতে ঘেরা ভ্রাতৃত্ব

** ৩৬ ঘণ্টার বিচিত্র রূপ!

** ইন্টারনেটে বাংলাদেশ এগিয়ে

** সেই তো আমরাই!
** লাইফলাইন অব ইন্ডিয়া
** দিল্লি কত দূর?
** ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা
** গ্রীনলাইনে ভুগতে ভুগতে কলকাতা

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।