ঢাকাঃ চলতি সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে ১১ হাজার ৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়্।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে (১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর) ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ১৫৫ কোটি ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। ওই সময় গড় লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৩১ কোটি ৬৮ লাখ ৬ হাজার টাকা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭০ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে বাজার উর্ধ্বমুখি থাকায় চলতি সপ্তাহে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি শেয়ার লেনদেন, বাজার মূলধন, লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং সব সূচক বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ডিএসইর সাধারণ সূচক প্রথমবারের মতো ৭ হাজার পয়েন্টে উন্নীত হয়।
সপ্তাহজুড়ে বাজার ঊর্ধ্বমুখি থাকায় চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন প্রথমবারের ৩ লাখ ১১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকায় উন্নীত হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে একই সময়ের ব্যবধানে সাধারণ সূচক বেড়েছে প্রায় ১৯৩ পয়েন্ট।
গত সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শেয়ারের বাজার মূল্য ও প্রকৃত সম্পদ মূল্যের (এনএভি) অর্ধেকের ভিত্তিতে মার্জিন লোন নির্ধারণ এবং ঋণ-অযোগ্য কোম্পানির শেয়ারের নেটিং সুবিধা বন্ধ সংক্রান্ত এসইসির সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। আর সপ্তাহজুড়ে বাজার ঊর্ধমুখী থাকার প্রধান কারণ ছিল এটিই।
এ ব্যাপারে ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অধ্যপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, আদালতে রিট সংক্রান্ত কারণে বাজার আরো ঊর্ধমুখী হয়ে পড়েছে। আর এই ঊর্ধমুখী পুঁজিবাজারে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই বিনিয়োগকারীদের সাবধানে লেনদেন করতে হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিষয়ে এসইসিকে পাশ কাটিয়ে আদালতে যাওয়ার বিষয়ও আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭৫৫ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০