ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্জিন লোন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে চেম্বার জজ

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১০
মার্জিন লোন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে চেম্বার জজ

ঢাকা: মার্জিন লোন নির্ধারণ এবং ঋণ-অযোগ্য কোম্পানির শেয়ারের নেটিং সুবিধা বন্ধ সংক্রান্ত  হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে চেম্বার জজ আদালত।

সোমবার বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



ইতোপূর্বে শেয়ারের বাজার মূল্য ও প্রকৃত সম্পদ মূল্যের (এনএভি) অর্ধেকের ভিত্তিতে মার্জিন লোন ও ঋণ-অযোগ্য কোম্পানির শেয়ারের নেটিং সুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে বিচারপতি আগামী ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মামলাটি লিভ টু আপিলের জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। শুনানিতে সরকারের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বাদী পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ।

শুনানিকালে আদালতে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার, এসইসির সদস্য (আইন) মো. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহান ও বিচারপতি মামনুন রহমানের আদালতে শেয়ারের বাজার মূল্য ও প্রকৃত সম্পদ মূল্যের (এনএভি) অর্ধেকের ভিত্তিতে মার্জিন লোন নির্ধারণ এবং ঋণ-অযোগ্য কোম্পানির শেয়ারের নেটিং সুবিধা বন্ধ সংক্রান্ত এসইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন দুই বিনিযোগকারী।

২৭ সেপ্টেম্বর ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত এসইসির সিদ্ধান্ত ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। একইসঙ্গে নির্দেশনা দু’টিকে কেন আইন বহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল নিশি জারি করে।

হাইকোর্ট অর্থ মন্ত্রণালয়, এসইসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলে। একইসঙ্গে আদালত মার্জিন লোন নির্ধারণ ও নেটিং সুবিধা বন্ধ সংক্রান্ত ৬ ও ২১ সেপ্টেম্বর জারি করা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দু’টি প্রজ্ঞাপনের সকল নির্দেশনার কার্যকারিতা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়।

সোমবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এসইসি চেম্বার জজ আদালতে আপিল করলে আদালত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার লিভ টু আপিলের জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়।  

এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশনের মুখপাত্র মো. আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। ’

উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) শেয়ারের বাজার দরের সঙ্গে প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) সমন্বয় করে মার্জিন নির্ধারণের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, ‘এনএভি ও বাজার মূল্যের যোগফলের অর্ধেকের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো কী পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে- ডিএসই প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তা নির্ধারণ করবে। ’

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ‘ডিএসই নির্ধারিত মার্জিন হিসাব করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ জমা দিতে বলবে (মার্জিন কল)। সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে মার্জিন বিধিমালা অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংক তার হিসাবে থাকা শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রি (ফোর্স সেল) করে ঋণ সমন্বয় করবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা,  অক্টোবর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।