ঢাকা: প্লাস্টিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্যারান্টি ও সম্পূরক শুল্ক তুলে দিতে আবারও দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস্ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বিপিজিএমইএ)।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ নেতারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্লাস্টিকশিল্পের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে একাধিকবার বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। তাই সংগঠনের নেতারা এ শিল্পের সমস্যাগুলো আবারও তুলে ধরে সেগুলো সমাধানের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপিজিএমইএ সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল।
শাহেদুল ইসলাম হেলাল বলেন, প্লাস্টিকশিল্প দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পখাত। রফতানিমুখী অন্যান্য খাতের মতো এ খাতটিও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে আছে। অথচ খাতটি সরকারের নীতিগত বৈষম্যের শিকার। রফতানিমুখী অন্য খাতগুলো যেসব সুযোগ-সুবিধা পায় এ খাতের উদ্যোক্তারা তা পান না। তিনি বলেন, শুধু এ খাতই নয়, দেশের অপেক্ষাকৃত ছোট শিল্পগুলোও নানা বৈষম্যের শিকার। সমস্ত দেশীয় শিল্পের ক্ষেত্রে একই ধরনের নীতি অনুসরণ করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের যে কোনো শিল্পের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ সঙ্কট। এ কারণে একদিকে উৎপাদন কমে গেছে, অন্যদিকে বেড়ে যাচ্ছে ব্যয়। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আরো দুই বছর লাগবে। এ অবস্থায় শিল্প উৎপাদনে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে মালিকরা যাতে জেনারেটর ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক ও মূল্য-সংযোজন কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৮১৮ ঘন্টা, ২৮ জুন, ২০১০
এসআর/এটিএস/জেএম