ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দফায় দফায় বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০
দফায় দফায় বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

ঢাকা: এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। সবজির দামও কিছুটা কমতির দিকে।

গরুর মাংসের সরবরাহ আগের মতই কম। মাছের সরবরাহ বাজারে বেশি হলেও দাম কিছুটা চড়া। তবে সপ্তাহ না ঘুরতেই  ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি চার টাকা।

এছাড়া আটা, চিনি, পেয়াঁজ, রসুনসহ নিত্যপণ্যের দাম স্থির রয়েছে। ডালের দামও স্থিতিশীল রয়েছে ।

তবে গত এক সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন দাম চার টাকা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ‘রূপচাঁদা’ সয়াবিন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ ৮৪ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪শ’ ৬৪ টাকা। ‘তীর’ ও ‘পুষ্টি’ বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ ৬৪ টাকায় ।

ঈদের পর থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম তিন দফা বেড়েছে। আর প্রতিবারই বেড়েছে লিটারপ্রতি চার টাকা হারে।

বোতলজাত তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খোলা সয়াবিন তেলের দামও। ঈদের আগে যে সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে ৭৬ টাকা দরে বিক্র হয়েছে সেই তেল ঈদের পর বেড়ে পাইকারি বাজারেই দাম উঠেছে ৮৭ টাকা পর্যন্ত।

তাবে বৃহস্পতিবার এ তেলের দাম ৮৫ টাকা, সুপার পাম ৮২.৫ ও পাম ৮২ টাকায় পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের বেঙ্গল স্টোরের মালিক মো. মহিউদ্দিন।

চালের দাম পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের দামেই স্থির রয়েছে। খুচরা বাজারে চালভেদে কোথাও কোথাও দামের কিছুটা হেরফের হচ্ছে। খুচরা বাজারে মিনিকেট চিকন ৪৩-৪৫ এবং মোটা ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৫০ টাকার মধ্যে। স্বর্ণা (পারি) ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে। বিআর ২৮, ৩৭ ও মোটা চাল ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দুই কেজি ওজনের তীর ও এসিআই আটা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

দেশি এবং ভারতীয় পেয়াঁজ পাইকারি বাজারে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় রসুন দেড়শ’ ও চায়না রসুন  ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। ডাল আগের দরেই মোটা ৯০, দেশি ১০০ ও ক্যাঙ্গারু ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাচাঁমরিচের দামে বিরাট ফারাক। কারওয়ান বাজারে কাচাঁমরিচ পাল্লা (৫ কেজি) সর্বোচ্চ ৮০ টাকা বিক্রি হলেও একই বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।

চিচিঙ্গা পাল্লা (৫ কেজি) ১০০ থেকে ১১০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০, বেগুন (লম্বা) ১২০-১২৫ ও বেগুন (গোল) ৮০ টাকা দরে পাল্লা বিক্রি হচ্ছে।   এছাড়াও পটল ৮০, পেপে ৩০, কচুর মুখি ১০০, থেকে ১২০, কাকরোল ১০০, টমেটো ৩০০, শশা ১০০, ঢেঁড়শ ১০০ ও সীম ২৬০ টাকা পাল্লা বিক্রি হচ্ছে।

লাউ পাইকারী বাজারে ১২ থেকে ১৫ টাকা, চাল কুমড়া ১৫ টাকা, বড়বটি ২৫-২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের সর্বরাহ বেশি হলেও মাছের দাম কমছে না। বাজারে প্রচুর ইলিশের আমদানি হলেও দাম কমছেনা। কারওয়ান বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ দুই হাজার টাকা হালি বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া পাপদা মাছ ৬০০ টাকা ,আইড় ৩০০, বাইল্লা ২০০, বাইম বড় ৪০০, তেলাপিয়া ৯০ থেকে ১২০, বোয়াল ২৩০, শিং ৪৫০, মাগুর দেশি ৩৫০, কৈ ১০০ থেকে ১২০, ছোট মাছ ১০০, রুইমাছ নেপালি বড় ১৮০ থেকে ২০০, রূপচাঁদা ৩৫০ ও বাচা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

কারওয়ান বাজারের মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ দোকানই খালি পড়ে আছে। দোকানের চার্টে গরুর মাংস ২৫০ ও মহিষের মাংস ২২০ টাকা লেখা থাকলেও অনেকদিন ধরে গরু হচ্ছে না বলে জানালেন মাংস বিক্রেতা রবিউল ও মজিবুর রহমান। এখন শুধু মহিষের মাংস বিক্রি করলেও কেউ গরু চাইলে মহিষকেই গরু বলে চালিয়ে দেন বলে জানালেন এক বিক্রেতা।

বাজারে খাশির মাংস ৩৮০ ও ছাগলের মাংস ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ থেকে ১৪০ এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।

বাংলাদেশ সময় ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad