ঢাকা: তিন হাজার কোটি টাকার রেকর্ড লেনদেনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে দেশের দুই পুঁজিবাজার। দিনশেষে দুই বাজারে মোট লেনদেনের অঙ্ক দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৫ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এদিন শেয়ার লেনদেন হয় ২ হাজার ৮০১ কোটি ৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকার। এটিও একদিনে ডিএসই’র সর্বোচ্চ লেনদেন যা আগের রের্কড থেকে ৩১২ কোটি টাকা বেশি। এর আগে সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ২ হাজার ৪৮৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২২৪ কোটি ৪৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এটি গতকালের চেয়ে ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা বেশি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪টির দাম। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ১১৬ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২টির।
সাধারণ মূল্য সূচক ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে ৬৭ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৪৮০ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে শূন্য দশমিক ৮৮৩১ শতাংশ বেড়ে ২১ হাজার ৮০৯ দশমিক ৭৩৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও লেনদেন ও সূচক বাড়ার পেছনে বেশ কয়েকটি গুজব কাজ করেছে। বিশেষ করে দুপুরে এসইসির কমিশন সভা চলাকালীন সময়ে বাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে- মার্জিন লোনের ক্ষেত্রে পিই রেশিও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এই গুজবের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী অনান্য খাতের শেয়ার বিক্রয় করে ব্যাংকের শেয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এতে করে এদিন প্রায় সব ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়।
এছাড়া টানা কয়েকদিন বাজার ঊর্ধমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ তুলে (প্রফিট টেকিং) নেওয়া লেনদেন বাড়ার আরেকটি কারণ।
বাজারে এদিন রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন প্রসঙ্গে ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল বিজভী বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের আরও সাবধানে লেনদেন করতে হবে। বাজারে তারল্য প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় লেনদেন বাড়ছে। তবে বিনিয়োগকারীদের কোনোভাবেই অতিমূল্যায়িত শেযার কেনা ঠিক হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১০