ঢাকা : দেশের প্রচলিত আইন মেনেই চীন সরকারের সহয়তায় সিলেটে নতুনভাবে আরো একটি সার কারখানা স্থাপন করা হবে। এ ব্যপারে চীন সরকারের সাথে আলোচনায় ঋণ দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আগ্রহ দেখিয়েছে।
এ ব্যাপারে শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সার কারখানাটি স্থাপনের বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অভিযোদ কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করেই মন্ত্রণালয় তড়িঘড়ি করে সার-কারখানা স্থাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিধিবিধান অনুসরণ করেই সব কিছু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সার কারখানাটির পুরো অর্থই দেবে চীন সরকার। এখন উভয় পক্ষ আলোচনা করেই সব ঠিক করা হবে।
‘দেশের স্বার্থ নষ্ট হয় এমন কোনো কিছু করা হবে না, পিপিআর অনুসরণ করে চুক্তি করা হবে’, বলেন শিল্পমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, চীন সরকার সার কারখানা স্থাপনে চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ সরকারকে ৬১৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। কারখানাটি স্থাপনে ব্যয় হবে ৭৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনের দেওয়া অর্থের বাইরে বাকি টাকা যোগান দিবে বাংলাদেশ সরকার।
চীনের অর্থায়নে সার কারখানাটি স্থাপনের আগেই যে কোম্পানি এটি স্থাপনের কাজ করবে তাদের সে ধরনের কাজ করার যোগ্যতা আছে কিনা, বা কোনো দেশে ঔই কোম্পানি এ ধরনের কাজ করছে কিনা তা যাচাই করার জন্য সংসদীয় কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এব্যপারে জানতে চাওয়া হলে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে এখনই যাচাই করার সময় হয়নি। পর্যায়ক্রমে কাজ এগুচ্ছে। সময় হলে অবশ্যই যাচাই করে দেখে শুনে সব কিছু করা হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
দেশের বর্তমানে যে পরিমান গ্যাস রয়েছে সে গ্যাস দিয়ে কারখানা চালু করা যাবে কি না এব্যপারে জানতে চাওয়া হলে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে গ্যাস সরবরাহের কোনো সমস্যা হবে না। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে। ’
শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থাযী কমিটির অভিযোগ, চীন সরকারের শর্ত অনুযায়ী তাদের মনোনীত কোম্পানিকে যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার কাজ দেওয়ার বিষয় এরই মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পিপিআর অনুসরণ করেই সব করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ৮ অক্টোবর ২০১০