ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে। তিন মাসে প্রায় ৭৪২ কোটি ডলারের সমমূল্যের পণ্যের এলসি খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর এলসির পরিমাণ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের প্রথম দু’মাসের তুলনায় গত মাসে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই ও আগস্টে এলসি খোলা হয়েছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং ৩০৫ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ। সে তুলনায় সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে এলসি খোলা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের।
গত মাসে (সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি এলসি খোলা হয়েছে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে। এ খাতে মোট এলসি খোলা হয়েছে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের। এর পরেই রয়েছে গার্মেন্ট ফেব্রিক্স, রাসায়নিক দ্রব্য এবং কাঁচা তুলা। এর মধ্যে গার্মেন্ট ফেব্রিক্স আমদানি খাতে ১৩ কোটি ৯২ লাখ ডলার, রাসায়নিক দ্রব্য খাতে ১১ কোটি ৯৭ লাখ এবং কাঁচা তুলা আমদানিতে ১০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে। এছাড়া পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে ৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে।
এছাড়া চাল, গম, চিনি ও ভোজ্য তেল আমদানি খাতে এলসি খোলা হয়েছে যথাক্রমে ২৪ লাখ, ৮ কোটি ৯০ লাখ, ৮ কোটি ৭৭ লাখ এবং ৮ কোটি ২৬ লাখ ডলারের। এছাড়া গুঁড়া দুধ আমদানির জন্য ১ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১০