ঢাকা: বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ২০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল শ্রীলংকা। সে ঋণ থেকে ৫ কোটি ডলার ফেরত এসেছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে পাঁচ কোটির এক কিস্তি আমরা পেয়েছি। চলতি মাসের শেষের দিকে আরও একটি কিস্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি চলতি বছরের মধ্যে ঋণের পুরো অর্থ দেশটি পরিশোধ করবে।
তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে ‘কারেন্সি সোয়াপ’ পদ্ধতির আওতায় ২০২১ সালে ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। এর বিপরীতে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট বা লাইবর যোগ করে দেড় শতাংশ সুদ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ওই বছরের ৩০ অক্টোবর।
ঋণ নেওয়ার পর পরই নতুন করে আরও সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ফলে যথাসময়ে ওই ঋণ ফেরত দিতে পারেনি দেশটি; বরং কয়েক দফা সময় চায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার বাকি অর্থ দেয়। একইসঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ও দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ঋণ থেকে ৫ কোটি ডলার ফেরত দিল শ্রীলংকা।
গত ১৬ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৯৩৮ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন) ডলার। এই রিজার্ভ থেকে কয়েকটি তহবিল গঠনসহ শ্রীলংকাকে ঋণ দেওয়া হয়। তহবিল গঠন করা টাকার পরিমাণ ৬২৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আইএমএফ’র কাছে থেকে ঋণ নেওয়ার শর্তে এ অর্থ রিজার্ভ থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে প্রকৃত রিজার্ভ কমে নেমে আসে ২৩ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। শ্রীলংকা ৫ কোটি ফেরত দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ বাড়লো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
জেডএ/এমজে