ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি: চাল-আটার দাম কমা অব্যাহত থাকবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০
ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি: চাল-আটার দাম কমা অব্যাহত থাকবে

ঢাকা: চাল ও গমের মজুদ পরিস্থিতি ভালো। তাই সব স্তরের ব্যবসায়ীদের সহায়তায় চাল ও আটার দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।



মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চাল, গম ও ময়দার বিপণন, মজুদ ও বাজার মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আমদানিকারক মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের এক মতবিনিময় সভায় তারা এ প্রতিশ্রুতি দেন।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে আটা-চালের সরবরাহ ও উৎপাদন চেইনে কোনও সমস্যা নেই। সাময়িকভাবে দাম বাড়লেও তা ক্রমেই কমছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অযাচিতভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো চলবে না। ’  

আমদানিকৃত বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক মওকুফের কথা উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, ‘সরকারের হাতে অনেক মেকানিজম রয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত। ’

তিনি ব্যবসায়ী ও সরকারের সম্মিলিত প্রয়াসে পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ব্যবসায়ীরা সভায় কিছু প্রস্তাব বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেন।

প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- কোন পর্যায়ে কত লাভ করা যাবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেওয়া, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যাতে বাজার প্রভাবিত করতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া এবং ব্যবসায়ীদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সরবরাহ করা।

সেইসঙ্গে সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ধান, চাল ও গমের মজুদ থাকতে হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা বাজার প্রভাবিত করতে না পারে। এছাড়া খাদ্য শস্যের ব্যাপারে যাতে কোনও প্রকার নেতিবাচক রিপোর্ট মিডিয়ায় প্রকাশ করা না হয়, সে ব্যাপারে মিডিয়ার সহায়তা নেওয়া, খাদ্য শস্যের চাহিদা ও উৎপাদনের ভিত্তিতে সরবরাহের ব্যাপারে সরকারকে অগ্রিম পরিকল্পনা নেওয়া এবং সড়কপথে যেহেতু পণ্য সরবরাহের ব্যয় বেশি, তাই নৌ ও রেলপথে পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মো. গোলাম হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেছী, কুষ্টিয়ার রশিদ এগ্রো ফুড প্রা. লি.’র আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ চাউল কল সমিতির আহ্বায়ক কে এম লায়েক আলি, সিটি গ্রুপের জিএম বিশ্বনাথ সাহা, মেঘনা গ্রুপের উপদেষ্টা এম এইচ মুন্সি, টিকে গ্রুপের এজিএম শফিকুল আলম, বাদামতলী ও বাবু বাজার চাউল মালিক সমিতির মো. নিজামউদ্দিন, গম চাউল আড়ৎদার সমিতির মোশারফ হোসেন, সেনাকল্যাণ সংস্থার পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন মিলের মালিকরা, খাদ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, এফবিসিসিআই ও এসিআই লিমিটেড’র প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।