ঢাকা: চট্রগ্রাম বন্দরের পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সংস্থা (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনে বন্দর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিজিএমইএ মনে করে পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রধানত চট্রগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। যেহেতু তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাণিজ্যে লিড টাইমের বিষয়টি আছে, তাই চট্রগ্রাম বন্দর কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প। পোশাক রপ্তানিকারকদেরই এজন্য মাশুল দিতে হচ্ছে।
বিশ্বমন্দা, আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের ক্রমাগত দরপতন, অর্ডার কমে যাওয়া, সেই সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটসহ অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এমনিতেই পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বিপর্যস্ত।
বন্দরের চলমান পরিস্থিতির কারণে উদ্যোক্তাদের সেই সঙ্কটকে আরও সঙ্কটময় করে তুলেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পণ্য ওঠা-নামার কাজে শ্রমিক নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে দুই পক্ষে ভিন্ন অবস্থানের জের ধরে সোমবার রাত থেকেই আংশিক অচল হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর। এরই মধ্যে শ্রমিকরা ১৬টি মূল জেটির ১২টিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০