ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

তালিকাভুক্তিতে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত এসইসি-র

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১০

ঢাকা: পুঁজিবাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ও ন্যূনতম শেয়ার ছাড়ার শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

মঙ্গলবার এসইসি’র কমিশন সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়েছে।

তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত বিধি সংশোধন করে কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হবে।

এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন এবং আইপিও’র মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ মিলিয়ে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা হলে ওই কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে পারবে। এ জন্য কোম্পানিটিকে কমপক্ষে ১২ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত শেয়ারের পরিমাণ কোম্পানির মোট শেয়ারের ১০ শতাংশের কম হতে পারবে না। আগে কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার কম হলে পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ ছিল না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ মার্চ এসইসি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির যোগ্যতা হিসেবে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা হতে হবে। এর কম হলে বাজারে আসতে পারবে না।

একইসঙ্গে ওই প্রজ্ঞাপনে কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকার নিচে হলে ওই কোম্পানির জন্য ৪০ শতাংশ শেয়ার ছাড়া বাধ্যবাধকতা করা হয়। এছাড়া পরিশোধিত মূলধন ৭৫ থেকে ১৫০ কোটি টাকা হলে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ অথবা ৩০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি হবে, সে পরিমাণ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে।

আর ১৫০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। তবে বাজারে ছাড়া শেয়ারের মূল্য ৪০ কোটি টাকার কম হতে পারবে না।

এসইসির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেক বাজার বিশ্লেষক একে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের অন্তরায় বলে সমালোচনা করেন। এ ব্যাপারে গত ৯ আগস্ট এসইসির পরামর্শক কমিটির সভায়

তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটির স্থলে ২৫ কোটি টাকা করার সুপারিশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এসইসি পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটির বদলে ৩০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।