ঢাকা: চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার কারওয়ান বাজাওে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের সভাপতিত্বে ভোক্তা সংরক্ষণ পরিষদের ৪র্থ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুধু কেন্দ্রিয়ভাবে না রেখে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে ভোক্তারা সহজে তাদের অভিযোগ জানাতে পারে।
অধিদপ্তরের কাজ আরো জোরদার ও শক্তিশালী করতে ১০১ জন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এছাড়া ভোক্তা অধিকার আইনে অসাধু ব্যবসায়ীদের শুধু জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ব্যবসায়ীকে জরিমানার পাশাপাশি জেলের ব্যবস্থা করা যায় কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাসরিন বেগমকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দাম বাড়ার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে এদের কার্য়ক্রম আরো শক্তিশালী করা হবে।
অযাচিতভাবে দাম বাড়ানো ও প্যকেটের গায়ে ওজন, মেয়াদ ও দাম লেখা না থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় তিনি বর্তমানে পৃথিবীর যে কোন দেশের তুলনায় দেশে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে বলেও দাবি করেন।
সভায় বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি একে আজাদ, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া, ক্র্যাবের সভাপতি কাজী ফারুক, অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হানসহ ভোক্তা সংরক্ষণ পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় ১৫২০ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১০