ঢাকা: বাংলাদেশে অটোরিকশা-ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে চলছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি অ্যান্ড মোটর চালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেডের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়, সচিবালয়-ঢাকা, অর্থ বিভাগের কাছে দশ বছরে বিআরটিকে ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রশিক্ষণ বাবদ আনুমানিক আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেব বলে আবেদন করি। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২২ সালের ৪ এপ্রিলের আদেশ অনুযায়ী মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য সকল সড়কে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চলাচলে বৈধতার আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, এ সমস্ত অটোরিকশাকে লাইসেন্সের আওতায় এনে সরকারকে আগামী ৫ বছরে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি অ্যান্ড মোটর চালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বিআরটিএ সংস্থাপন অধিশাখা বিআরটিএ ১০ সদস্যের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা-অটোবাইক আনুমানিক ৪০ লাখ অবৈধ অটোরিকশা অটো বাইক চলছে। মন্ত্রণালয় এসমস্ত গাড়িগুলোকে নীতিমালায় আনতে পারছে না এবং উচ্ছেদও করতে পারছে না। ফলে গাড়িগুলো থেকে দেশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিবহন খাতকে জিম্মি করে ও বিআরটিকে হাত করে প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। যার ফলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
আবুল কালাম বলেন, আমার কোম্পানির লোগো ও ব্যানার ব্যবহার করে সারা দেশ থেকে কাজ পরিচালনা করে সরকারের তিন সংস্থা এনবিআর, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে রাজস্ব দিতে চাই। এই তিন সংস্থাকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আনুমানিক আট হাজার কোটি টাকা ১৫ শতাংশ ভ্যাট, পাঁচ শতাংশ ট্যাক্স দিতে আগ্রহী আমরা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ডিরেক্টর মো. মুজিবুর রহমান রানা, আক্তার আহমেদ ও মার্কেটিং ম্যানেজার আনোয়ারুল কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
ইএসএস/এসআইএস