ঢাকা: পুঁজিবাজারে দিন দিন নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক বছরে এ সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখেরও বেশি।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের জুন মাসে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার। অন্যদিকে, ২০১০ সালের ২৭ জুনে তা বেড়ে ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই এ সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৫৮০ জন।
এ ব্যাপারে সিডিবিএল-এর হেড অফ সিস্টেম মইনুল হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, গত বছরের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জুন (২৭ জুন) পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ নারী বিনিয়োগকারী বিও (বেনিফিসিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।
পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়া প্রসঙ্গে ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল রিজভী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ডিএসই নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজার সর্ম্পকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ নারী বিনিয়োগবারীদের জন্য আলাদা লেনদেন চালু করেছে। ডিএসইর এসব পদক্ষেপের সুবাদে গত এক বছরে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের মধ্য দিয়ে নারীরা নিজেদের সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারেন। এতে করে জাতীয় অর্থনীতির মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়বে।
নারী বিনিয়োগকারী শারমিন সুলতানা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘দুই বছর ধরে শেয়ার-ব্যবসা করছি। প্রথম অবস্থায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে কিছুটা লোকসান হলেও এখন তা কাটিয়ে উঠেছি। ’
শিক্ষিত নারীদের জন্য শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ একটি আদর্শ পেশা হতে পারে মন্তব্য করেন তিনি। কেননা শেয়ার ব্যবসা করতে তেমন কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। এমনকি ঘরে বসে মোবাইল ফোনেও এটা করা যাচ্ছে। একটু দেখে শুনে ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনলে লোকসানের আশঙ্কা খুবই কম। ফলে শিক্ষিত বেকার নারীরা ঘরে বসে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বাড়তি আয় করতে পারেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১০