দিল্লি: দুইদিন ব্যাপী ৮ম এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর কোয়ালিটি কংগ্রেস (এএনকিউ) ২০১০ গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় দিল্লিতে শেষ হয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণে মান ব্যবস্থাপনায় প্রথম আন্তর্জাতিক উদ্যোগ এই কংগ্রেস।
ভারতের সঙ্গে এবার এএনকিউ ২০১০-এর সহ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নেপাল।
এবারের দিল্লি কংগ্রেসের মূল স্লোগান ছিল ‘এশিয়ার সার্বিক উন্নয়নে মান’ (কোয়ালিটি ফর ইনকুসিভ গ্রোথ অব এশিয়া)।
সৃজনশীলতা, সংহতি, সমৃদ্ধি এবং সর্বোপরি এশিয়ার জনগণের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশ মিলে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর কোয়ালিটি গঠন করে।
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলন সম্পর্কে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম)-এর মহাসচিব এ এম এম খায়রুল বাশার বলেন, মান নিশ্চিতকরণে জিডিপি নির্ভর পশ্চিমা মডেলের তুলনায় ভিন্ন এবং বিকল্প একটি মডেল গড়ে তুলতে ‘এশীয় পদ্ধতি’ (এশিয়ান ওয়ে) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। মানের নতুন একটি সংজ্ঞা মানুষের জীবনে সার্বিকভাবে সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে।
জীবনের সবক্ষেত্রে মান-এর ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে মূখ্য ভ’মিকা পালন করছে বিএসটিকিউএম। ১৯৯৪ সালে টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (টিকিউএম) নামে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। আর এর উদ্যোক্তা ছিলেন এ এম এম খায়রুল বাশার, মোকাররম উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মাসুদ হাসান এবং টি পি বিশ্বাস।
জনগণের সুখ-শান্তির জন্যই মান নিশ্চত করাই হচ্ছে সংগঠনের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। অথনীতির সকল ক্ষেত্রে মান নিশ্চিতকরণে এর সদস্যরা সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। সংগঠনের নীতিই হচ্ছে লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা।
বিশ্ব দরবারে মান নিশ্চতকরণে বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে খায়রুল বাশার ইন্ডিয়ান কোয়ালিটি মুভমেন্টের প্রতি আহ্বান জানান।
সদস্য সংগঠনগুলো গবেষণা, উন্নয়ন এবং অনুশীলনের মধ্য যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করবে তা নিজেদের মধ্যে বিনিময়ের একটি ক্ষেত্র এএনকিউ তৈরি করে দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য দিল্লি সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ এশিয়ার ২০টি দেশের আড়াইশ প্রতিনিধি দলের এক হাজার জন সম্মেলনে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১০