কলাপাড়া: দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নৌপরিবহন সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ চ্যানেল ও অন্ধারমানিক নদীর মোহনা পরিদর্শন করেন।
বন্দরের স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া গ্রাম সংলগ্ন রামনাবাদ চ্যানেল ও অন্ধারমানিক নদীর মোহনা এলাকা পরিদর্শন শেষে শুক্রবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাকবাংলোয় স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের কাছে নৌপরিবহন সচিব আব্দুল মান্নান হাওলাদার তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্ধারমানিক নদীর বালিয়াতলী ফেরিঘাট থেকে নদীপথে রামনাবাদ চ্যানেলের প্রবেশ মুখ হয়ে বঙ্গোপসাগরে মূল নৌপথ পর্যন্ত পরিদর্শন করেছি। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে সমুদ্র বন্দর করার জন্য এখানে উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। তবে গভীর সমুদ্র থেকে রামনাবাদ চ্যানেলের প্রবেশ মুখে নাব্যতা কম থাকায় ড্রেজিং করতে হবে। ’
প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদেরকে জানান, মাওয়া ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষে হলে কলাপাড়া থেকে সড়ক পথে ৬ ঘণ্টা ও নৌপথে ১২ ঘণ্টায় ঢাকায় পণ্য পৌঁছনো সম্ভব হবে। অর্থাৎ তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হলে আমআনি পণ্য এখান থেকে রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৬ ঘণ্টায় পৌঁছানো সম্ভবব হবে। বিপরীতে ঢাকা থেকে রপ্তানি পণ্যও একই সময়ে এ বন্দরে পৌঁছানো যাবে।
নৌপরিবহন সচিব বলেন, ‘দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর স্থাপনের ল্েয সার্ভের সমস্ত কাজ আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মংলা বন্দর কর্তৃপরে চেয়ারম্যান কমোডর এমএকে আজাদ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহণ কর্তৃপরে অস্থায়ী চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ, পরিচালক (কনজারভেন্সি অ্যান্ড পাইলটেজ) এমদাদুল হক, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মিনারুল হক, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন নাজমুল আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১০