ঢাকা: বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতের নতুন কোম্পানির (গ্রিনফিল্ড) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বুকবিল্ডিং পদ্ধতির শর্ত শিথিলের প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হবে।
মঙ্গলবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে এসইসি’র নির্বাহি পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভুইঁয়া সাংবাদিকের জানান, কমিশন সভায় বিএপিএলসি’র প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের জন্য বিএপিএলসি’র পক্ষ থেকে গত আগস্ট মাসে এসইসি’কে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতের নতুন প্রকল্পগুলোকে আইপিওর মাধ্যমে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসার জন্য তিনটি শর্ত থেকে অব্যহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে অবশ্যই কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে হবে। উদ্যেক্তা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন অবশ্যই দেড়শ’ কোটি টাকা হতে হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানকে টানা সাত বছর উৎপাদন অব্যাহত রেখে মুনাফা অর্জনের রেকর্ড থাকতে হবে। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কোনো পুঞ্জিভুত লোকসান, খেলাপি আয়কর এবং খেলাপি ঋণ থাকা যাবে না।
বর্তমান বিধান অনুযায়ী বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ন্যূনতম তিন বছর বাণিজ্যিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। তিন বছরের মধ্যে ন্যূনতম দুই বছর মুনাফা অর্জন এবং আবেদনকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কোনো পুঞ্জিভূত লোকসান না থাকার শর্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০