ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে তুলা ও সূতার দাম কারণেই বাংলাদেশের বাজারে এর দাম বেড়েছে। বিটিএমএ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে শিগগিরই বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান করা হবে।
তিনি আরো জানান, ব্যাংক সুদের হার কমানোর ব্যাপারে সরকার আন্তরিক এবং এ সরকারের মেয়াদকালেই তা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হবে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ নিটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিকেএমইএ-এর ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এর সভাপতি এ.কে.এম সেলিম ওসমান।
প্রতিনিধিদল এসময় মন্ত্রীকে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে সূতার যে দাম রয়েছে তা কোন অবস্থাতেই আন্তর্জাতিক বাজোরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সুতার বাজারের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও দাম বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
তারা বলেন, উচ্চ মূল্যে সূতা কিনতে না পারায় এরই মধ্যে অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এতে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হচ্ছে, অন্যদিকে থেমে যাচ্ছে এ শিল্পের অগ্রযাত্রা।
এ ব্যাপারে বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসব দাবির ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দের পেশকৃত দাবিসমূহ অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সরকার সকলের স্বার্থ রক্ষা করে এ সমস্যার সমাধানে সম্পূর্ণ সচেষ্ট রয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে জটিলতা রয়েছে, তা অবশ্যই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধা করা হবে।
বিদ্যুতের উন্নতির ব্যাপরে তিনি বলেন, আগামী বছরের এপ্রিল থেকে কিছুটা এবং ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যুতের দ্রুত উন্নতি হবে।
মন্ত্রী আরও জানান যে, রপ্তানিমূখী শিল্পের জন্য বিদ্যুতের কোটা বরাদ্ধ করার চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে।
তিনি বলেন, সুতার লাগামহীন দাম বাড়ার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে এ বছরের নভেম্বর থেকে ভারত থেকে তুলা রপ্তানি শুরু হবে এবং আগামী বছর ১১ লাখ বেল তুলা ভারত থেকে পাওয়া যাবে।
তুলার সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি উজবেকিস্তান সফরে যাচ্ছেন বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় ১১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০