ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তিন মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ করেনি ৭ ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
তিন মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ করেনি ৭ ব্যাংক

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সাতটি দেশি-বিদেশি ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ শুরু করেনি। আবার অন্য সাত ব্যাংক শুরু করলেও ঋণ বিতরণ দুই শতাংশের নিচে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বেসিক ব্যাংক, দেশি মালিকানাধীন বেসরকারি সিটিজেন ব্যাংক পিএলসি ও পদ্মা ব্যাংক পিএলসি এবং বিদেশি মালিকানাধীন সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, এইচএসবিসি ব্যাংক এবং উরি ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ শুরু করেনি।

তিন মাস সময়ে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র এক থেকে তিন শতাংশের নিচে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে সাতটি ব্যাংক। তিন শতাংশের নিচে কৃষি ঋণ বিতরণ করা বেসরকারি ব্যাংকগুলো হলো—ইউনিয়ন ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়া। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে তিন শতাংশের নিচে ঋণ বিতরণ করা ব্যাংকগুলো হলো—বিডিবি পিএলসি, জনতা ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংক।

খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টিতে ফসল উৎপাদন, সেচ যন্ত্র কেনা, কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা,  পশুপালন ও পোল্ট্রি ফার্মের জন্য কৃষি ঋণ, মৎস্য চাষ, ফসল সংগ্রহ ও বাজারজাত এবং কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়। সুদের হারও অন্যান্য ঋণের তুলনায় কমপক্ষে ১ শতাংশ কম। এসব ঋণ কৃষিকাজের সঙ্গে মানুষের আর্থিক সংগতি যেমন বাড়ায়, আবার সময়ের কাজ সময়ে করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে সময়মতো টাকা না পেলে কৃষকের কাজে লাগে না।

কৃষি ঋণ বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় একাধিক দেশি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, বিদেশি ব্যাংকগুলোর যথেষ্ট শাখা না থাকার কারণে এনজিও লিংক ব্যবহার করে কৃষি ঋণ বিতরণ করে। অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে বিতরণ শুরু না হলেও যে কোনো সময়ের মধ্যে পুরো কৃষি ঋণ বিতরণ করা হবে। বিদেশি ব্যাংকগুলো এমন বিতরণ পদ্ধতি অনুসরণ করে বলে জানান ওই কর্মকর্তারা। অন্যান্য যে সব ব্যাংক বিতরণ কম করেছে তারাও বছরের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে।

তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে চলতি অর্থবছরের কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে কৌশলগত লক্ষ্য মাত্রা  ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ সময়ে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ছয় হাজার ৪৫৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৪১ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম ঋণ বিতরণ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।