ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

টেলিটক কর্মীদের বিক্ষোভ, সার্ভিস রুল করার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১০
টেলিটক কর্মীদের বিক্ষোভ, সার্ভিস রুল করার দাবি

ঢাকা: কোম্পানিতে রূপান্তরের পাঁচ বছর হয়ে গেলেও নতুন কোনো ‘সার্ভিস রুল’ না হওয়া এবং পুরনো কাঠামো অনুসারে পদোন্নতি ও বেতন-ভাতা প্রদানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছে সরকারি মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর ‘টেলিটক’।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা গুলশানে প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে এবং প্রধান ফটক অবরূদ্ধ করে রাখে।



সকালে অফিসে আসার পর থেকেই কর্মকর্তারা বিক্ষোভের প্রস্তুতি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে প্রধান কার্যালয়ের প্রায় সবাই বিক্ষোভে অংশ নেয় এবং ভবনটি অবরুদ্ধ করে ফেলে। বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত এ অবস্থা চলে।  

বিক্ষোভের মুখে কর্মরতদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান। পরে দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয় এবং কাজে যোগ দেয়।      

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বেতন ও পদোন্নতির পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য তারা দাবি জানিয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ’

মজিবর রহমান বলেন, ‘বেতন-ভাতা, পদোন্নতির পদ্ধতিসহ দাবিকৃত বিষয়গুলো আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন রয়েছে। ’

বিক্ষোভের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে টেলিটকের কর্মকতারা জানান, পাঁচ বছর আগে টেলিটক গঠন হওয়ার সময় বলা হয়েছিল ‘সাময়িকভাবে’ নির্ধারিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে পাঁচ বছরেও নির্ধারিত কোনো পদ্ধতি (সার্ভিস রুল) প্রণয়ন করা হয়নি।

টেলিটকের কাস্টমার রিলেশনন্স শাখার একজন ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বেতন ও অন্যান্য ভাতাসহ সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কোনো নিয়মই টেলিটকে নেই। এমনকি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টের নিয়মও এখানে নেই। ’

তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নীতি নির্ধারকদের মর্জি মাফিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। একই পদে আকাশ-পাতাল পার্থক্যের কর্মকর্তা নিয়োগের ঘটনাও ঘটেছে। ’
 
টেলিটক সূত্র জানায়, এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত মার্চ মাস থেকে কথা বলা শুরু করেন। এপ্রিল মাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে গণ স্বাক্ষরের আবেদনপত্রও দেওয়া হয়েছে।  

সূত্র আরো জানায়, এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কথা বলার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি সমিতিও গঠন করেছে। ‘টেলিটক কর্মকর্তা-কর্মচারী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ নামের ওই সংগঠনের ব্যানারে গত ৫ সেপ্টেম্বর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও পেশ করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আবু কাওসারের দাবি, ওই স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বিষয়টির সমাধান করতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও কাজ হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।