ঢাকা : প্রথমবারের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইতে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৯০ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ২ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। রোববারের আগে ওটাই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন। এদিন আগের রের্কড লেনদেন থেকে ২৬২ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে।
রোববার ডিএসইতে একমাত্র ব্যাংকিং খাত ছাড়া অন্য সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা, প্রকৌশল, বিদুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য, আইটি, সিমেন্ট, সিরামিকস খাতের দর পতন ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনশেষে লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৭৯টির, কমেছে ১৬০টির এবং অবশিষ্ট ৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
বাজারের রের্কড পরিমাণ লেনদেনের পরেও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন ডিএসই‘র সভাপতি মো. শাকিল রিজভী।
এ ব্যাপারে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে আজ প্রথমবারের মতো লেনদেন ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এটি পুঁজিবাজারের জন্য একটি ভালো দিক। লেনদেন বেশি হলেও বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু বাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার পরও রের্কড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে, তাতে বুঝতে হবে বাজারে সেল প্রেসার (বিক্রয়ের প্রবণতা) বেশি ছিল। এদিন বিনিয়োগকারীরা প্রফিট টেকিং (লভ্যাংশ তুলে নেওয়া) করেছে। আর এ কারণেই রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। ’
এদিন ডিএসইতে শুধু আর্থিক লেনদেনে ছাড়াও উভয় সূচক বৃদ্ধিতে নতুন রেকর্ড হয়। সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২০ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৯৫৭ দশমিক ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় টানা ৮ দিন পর ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৬৮৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০