ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নয়নকাজে সুশীল সমাজ ও এনজিওর অংশীদারিত্ব বাড়াতে বলল দাতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১০
উন্নয়নকাজে সুশীল সমাজ ও এনজিওর অংশীদারিত্ব বাড়াতে বলল দাতারা

ঢাকা: সরকারের উন্নয়নকাজে বেসরকারি খাত তথা সুশীল সমাজ ও এনজিওদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে দাতারা গুরুত্বারোপ করেছে। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও জোর দিয়েছে তারা।



রোববার ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)’র বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং দাতাগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ডিএফআইডি’র প্রতিনিধি ক্রিস অস্টিন বক্তব্য রাখেন।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দাতাদের সঙ্গে এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনসহ সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং দাতাদের সঙ্গে একটি যৌথ সহযোগিতা কৌশল প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। ’

এ লক্ষ্যে ২৫টি কর্মবিষয় (অ্যাকশন পয়েন্ট) চিহ্নিত করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে এই ২৫টি কর্ম বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ’

বিভিন্ন আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে দাতারা স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, শিক্ষা, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও কার্যকর করা, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও জলবায়ু ইত্যাদির ওপর জোর দিয়েছেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

 একই সঙ্গে কিছু বিষয়ে দাতারা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘দাতাদের পরামর্শগুলো সরকার পর্যালোচনা করে দেখবে এবং বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। ’

পরে এগুলো নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি নিয়ে দাতারা তেমন কিছু বলে নাই। ’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেটা গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সার্ভে করা হয়েছে। একটি নতুন সরকার মাত্র নয় মাসে তেমন কী পরিবর্তন ঘটাতে পারে?’
 
ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক আগামী চার বছরে বাংলাদেশকে ৬২০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে। তবে আঞ্চলিক সহযোগিতার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তারা এর বাইরেও ঋণ দেবে। ’

বাংলাদেশ সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামীতে তা নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও চিনের দিকেও সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানান ড. মশিউর।

তিনি বলেন, ‘ট্রানজিট ব্যবহারের জন্য সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে এবং এতে বাংলাদেশের জাতীয় আয় বাড়বে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৮০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।