ঢাকা : ‘ভাই, গতকাল ৪৩ টাকা কেজি কিনে ৪৫ টাকায় বেচছি। আজ কিন্নাই আনলাম ৪৬ টাকা।
পেঁয়াজের দামের অবস্থা জিজ্ঞেস করায় কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. জাফর হতাশার সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন আর পঁচা পেঁয়াজ বাছছিলেন।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। বেড়েছে আদা, রসুন, জিরা, সাদা এলাচ, কালো এলাচসহ সব মসলার দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ৭ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের আজকের বাজার কেজি প্রতি ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজের বাজার ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা।
গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। আজকের পাইকারি বাজার ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা এবং খুচরা ৯৮ থেকে ১০২ টাকা পর্যন্ত। পামওয়েলের আজকের পাইকারি বাজার কেজি প্রতি ৮৫ থেকে ৮৬ টাকা ও খুচরা বাজার ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা।
পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের তুলনায় আদা, রসুন ও শুকনা মরিচের দাম এক মাস ধরে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। এক মাসে আদা, রসুনের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। আজকের পাইকারি বাজারে দেশি আদা মানভেদে ১২০ থেকে ১৭০ টাকা এবং চীনা আদা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। চীনা রসুন প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) ৬৮০ থেকে ৬৯০ টাকা এবং দেশি ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা পাল্লা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিরা, সাদা এলাচ, কালো এলাচ, গোল মরিচসহ সব মমলার বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে দামের পার্থক্য একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা।
এই পার্থক্যের কারণ কী জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ক্ষুদে খুচরা মসলা ব্যবসায়ী মোখলেছ বলেন, ‘ভাই আমাগোতো লাভ করতে হইবো। তাছাড়া এইডা কোয়ালিটি কম-বেশির কারণে হয়। এই ব্যাপারে পাইকারী ব্যবসায়ীগো কাছে যান, হ্যারা ভালো কইতে পারবো। ’
পাইকারি বাজারে জিরা তিনশ’ ২০ থেকে তিনশ’ ৩০, সাদা এলাচ ভাল দুই হাজার ৯ শ’, সাধারণ দুই হাজার ছয় শ’, কালো এলাচ এক হাজার ৬ শ’, গোল মরিচ ৪৫০, তেজপাতা এক শ’ ২০ থেকে এক শ’ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের দৈনিক বাজার রিপোর্টে দেখা যায়, এক মাস আগের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও সয়াবিনের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময় : ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১০