ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দলীয় অথবা সরকারি পদ বেছে নিতে সিডিএ চেয়ারম্যানকে চিঠি দিচ্ছে আ’লীগ

রমেন দাশগুপ্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০
দলীয় অথবা সরকারি পদ বেছে নিতে সিডিএ চেয়ারম্যানকে চিঠি দিচ্ছে আ’লীগ

চট্টগ্রাম: দলীয় না হয় সরকারি পদ দুটির মধ্যে যে কোনো একটি বেছে নিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপরে (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে চিঠি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

রোববার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারেরও সভাপতি।

বৈঠকের এ সিদ্ধান্তের সত্যতা স্বীকার করে নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সরকারি লাভজনক পদ গ্রহণ করা অনৈতিক এবং বেআইনি। এ কারণে নগর আওয়ামী লীগের যেসব নেতা সরকারি লাভজনক পদে আছেন তাদেরকে হয় রাজনীতি নয়তো সরকারি পদ যে কোনো একটি বেছে নিতে চিঠি দেওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’

নগর আওয়ামী লীগের আর কোনো নেতা সরকারি পদে আছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে জবাবে তিনি বলেন, ‘আবদুচ ছালাম ছাড়া আর কেউ সরকারি পদে নেই। এক্ষেত্র তাকেই যত দ্রুত সম্ভব চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’

সাবেক মেয়রের চশমাহিলের বাসভবনে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে যোগ দেননি আবদুচ ছালাম।

এ প্রসঙ্গে আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি জেনেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে সিডিএ’র চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছেন। তিনি চাইলে আমি এ পদে থাকব, না হলে থাকব না। তাছাড়া আমাকে দলীয় পদ থেকে বাদ দিতে হলে সভানেত্রীর অনুমোদন লাগবে। ’

চিঠি পেলে জবাব দেবেন কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিঠি নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করব। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব। ’

২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন চট্টগ্রামের শীর্ষ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও ওয়েল ফুডের প্রতিষ্ঠাতা আবদুচ ছালাম।

ওই বছরই নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি অর্থ সম্পাদক পদ পান।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-৭ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাকে সিডিএ’র চেয়ারম্যান করা হয়।

২০০৯ সালে চিটাগং চেম্বার অব কমার্স ভেঙ্গে চিটাগং মেট্রোপলিটন চেম্বার গঠিত হলে আবদুচ ছালামকে এর সভাপতি করা হয়।

নগর আওয়ামী লীগে সূত্রে জানা গেছে, বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আবদুচ ছালামের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রাথমিক-গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা.আফছারুল আমিনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবদুচ ছালাম নগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে চট্টগ্রামে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ করছেন।

ডা.আফছারুল আমিন-আবদুচ ছালাম ছাড়াও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগে মহিউদ্দিন বিরোধী আরও তিনটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। বিবদমান এসব গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কোতয়ালী আসনের সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসি, বন্দর এলাকার সাংসদ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি এম এ লতিফ এবং তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আজ ম নাছিরউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।