ঢাকা: এসইসি মার্জিন লোন প্রদানের হার কমিয়ে আনার কারণে সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে নিম্নমুখী প্রভাব পড়েছে।
সোমবার ডিএসই সাধারণ সূচক নিম্নমুখী এবং টাকার অঙ্কে মোট লেনদেনও গতকালের তুলনায় কমেছে।
অন্যদিকে বাজার খুব বেশি না পড়লেও এসইসি’র বার বার সিদ্ধান্ত বদলের কারণে বিনিয়োগকারীরা ছিলেন আতঙ্কের মধ্যে। একারণে আগামী দিনগুলোতে বাজার আরো পড়ে যেতে পারে Ñ এমন আশঙ্কায় অনেক বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা লাভজনক শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি প্রবণতার রাশ টেনে ধরা এবং শেয়ারের অতি মূল্যায়ন রোধে মার্জিন লোন প্রদানের হার গতকাল অর্ধেকে নামিয়ে আনে এসইসি। একই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পর ৩০ কার্যদিবস অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার মার্জিন লোন প্রদান না করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুটো সিদ্ধান্তই সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
ঢাকার পুঁজিবাজারে সোমবার ২৪৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৫টির, দাম কমেছে ১০৭টির ও ৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৮৮টি। টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৪৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এটা রোববারের তুলনায় ৭৯কোটি ৬ লাখ টাকা কম। ওইদিন টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
লেনদেন শেষে সোমবার ডিএসই সাধারণ সূচক গতকালের তুলনায় ৭৭ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫২১ দশমিক ০৫। রোববার ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল ৮৫৯৮ দশমিক ১৭।
সোমবার বাজার মূলধনও কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৩৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। রোববার বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
দাম বাড়ার শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- এ্যাকটিভ ফাইন, সিনোবাংলা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সিএমসি কামাল, অগ্নি সিস্টেম, এমবি ফার্মা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক্স, দেশ গার্মেন্টস্, সাভার রিফ্রেক্টরীজ ও মুন্নু সিরামিক্স।
অন্যদিকে, দাম কমার শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১, ইস্টার্ণ ব্যাংক, ইস্টার্ণ হাউজিং, যমুনা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, ৭ম আইসিবি, অ্যাপেক্স ট্যানারী, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক ও কন্ফিডেন্স সিমেন্ট।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩০ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০