ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল ৮ বছরেও চালু হয়নি

শেখ হেদায়েতুল্লাহ, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০
খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল ৮ বছরেও চালু হয়নি

খুলনা: খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল বন্ধ হওয়ার পর আট বছরেও তা আর চালু হয়নি। মিলটি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারকে রাজস্ব দিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা।

লাভজনক এই শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মিলটি চালু করা হলে সহস্রাধিক লোকের স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। আর প্রত্য ও পরোভাবে উপকৃত হবে ২ লাখ মানুষ।

তিনি আরও জানান, মিলটি আবারও চালুর জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চিন্তাভাবনা চলছে পরিত্যক্ত কাগজ থেকে উৎপাদনে যাওয়ার।

১৯৫৯ সালে ভৈরবের তীরে ঘেঁষে খালিশপুরে স্থাপিত হয় নিউজপ্রিন্ট মিলটি ১১৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে মিলের উৎপাদন মতা ছিল বছরে ৪৮ মেট্রিক টন। ৫০ দশকের প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত হতো উন্নতমানের নিউজপ্রিন্ট।

নিউজপ্রিন্ট মিল আবারও চালুকরণ সহায়তা কমিটির আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দেশি ও বিদেশি বাজারে নিউজপ্রিন্ট কাগজের মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৪৫ হতে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি মেট্রিক টন নিউজপ্রিন্ট উৎপাদনের ব্যয় ছিল ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু সরকার খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলকে প্রতি টন নিউজপ্রিন্ট ১৯ হাজার ৮৮০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য করে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বাংলানিউজকে জানান, সরকারি অর্ডিনেন্স উপো করে দেশি বিদেশি চক্রান্তে তৎকালীন সরকার ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর নিউজপ্রিন্ট মিল বন্ধ করে দেয়।
 
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত বছরের ১৫ মার্চ খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল চালুর ল্েয শিল্পমন্ত্রী, পাটমন্ত্রী ও শ্রম কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী কারখানা পরিদর্শন করেন।

এর পরই খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল আবার চালুর ল্েয অর্থ কারিগরী সমীা পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটি গত বছরের ২৭ জুন খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল পরিদর্শন করেন।

সমীা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিউজপ্রিন্ট মিলে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কাগজ উৎপাদন করা সম্ভব। পরে বিসিআইসি বোর্ডের অনুমোদনক্রমে ৩৫৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিএমআরই করার জন্য ও ৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা চলতি মূলধনসহ মিলটি আবারও চালুর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত সুপারিশ প্রেরণ করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।