ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, উন্নত দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রাপ্য হিস্যা দিতে হবে। আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় ইস্তাম্বুল সম্মেলনে এটাই হবে বাংলাদেশের মূল এজেন্ডা।
রাজধানীর হোটেল শেরাটনে তিন দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সংলাপের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী উন্নত দেশগুলোর মোট জাতীয় আয় (জিএনআই)’র দশমিক ২ শতাংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে দেওয়ার দাবি জানান।
বর্তমানে উন্নত দেশগুলো জাতীয় আয়ের মাত্র দশমিক শূন্য নয় শতাংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে দিচ্ছে।
‘এক্সপ্লোরিং এ নিউ গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর দ্য এলডিসি’জ ইন দ্য কনটেক্সট অব ইউএন এলডিসি ফোর’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এবং প্যারিসের ওইসিডি ডেভেলপ সেন্টার।
সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক চেয়ারপার্সন ফজলে হাসান আবেদ, সিপিডির সিনিয়র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, তাঞ্জানিয়ার সংস্থা ইএসআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক ড. এইচ বি লুনোগেলো, ফ্রান্সের এফইআরডিআই’র প্যাট্রিক গুইলাউমঁত, ইউএনডিপি’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন প্রিসনার প্রমুখ।
সিপিডি নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। এজন্য বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও মানব সম্পদ উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে। ’
পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আগামী ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৮ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। ’
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০