ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ ১০ কোম্পানি

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১০

ঢাকা: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ১০ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ইমাম বাটন, যমুনা অয়েল, কোহিনুর কেমিক্যালস, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, মুন্নু সিরামিকস্ ও মুন্নু জুটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।



ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, এসব কোম্পানি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে  সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে প্রতিবছর তিন মাস পরপর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে প্রকাশ করতে হয়। এজন্য আর্থিক প্রতিবেদন স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হয়। পরবর্তীতে স্টক এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার বিনিয়োগকারীদের অবহিত করে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজী প্রত্রিকার মাধ্যমেও তা প্রকাশ করতে হয়।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর নির্দিষ্ট সময়ে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ১২ কোম্পানিকে জরিমানা করে ডিএসই। এসব কোম্পানিকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা হারে জরিমানা গুনতে হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এসব কোম্পানির জরিমানা আদায় কার্যকর হবে বলে জানা গেছে ডিএসই সূত্রে।
 
জানা গেছে, ৩০ জুনের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে তাদের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। এবছর ৬৩ কোম্পানি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের অডিট রির্পোট জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরবর্তীতে ডিএসই এসব কোম্পানিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেয় ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেও ১২টি কোম্পানি নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে ডিএসই এসব কোম্পানিকে ১৫ ডিসেম্বর থেকে জরিমানার আওতায় আনার সিন্ধান্ত গ্রহণ করে।

সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী এসব কোম্পানির প্রতি দিনের জরিমানার পরিমাণ হবে ৫০০ টাকা করে। আর এই জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে পরে এসব কোম্পানির নামে সার্টিফিকেট মামলা করার বিধানও রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ডিএসই’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আইনে কিছু ফাঁক থাকায় কোম্পানিগুলো আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দিয়েও পার পেয়ে যায়। এক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি তালিকাচ্যূত করা। কিন্তু সেটা করলে বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এ সুযোগ নিচ্ছে অনেক কোম্পানি। ’

স্থানীয় সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫,  ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।