ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

উত্তরাঞ্চলে ঝিমিয়ে পড়েছে বিসিকের কার্যক্রম

শরীফ সুমন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০

রাজশাহী: বিদ্যুৎ সঙ্কট, গ্যাসের অভাব আর ব্যাংক ঋণ না পাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে ঝিমিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কার্যক্রম। এ অঞ্চলের ১৭টি বিসিক শিল্পনগরীর ২ হাজার ৩০০ প্লটের বিপরীতে গড়ে উঠেছে মাত্র ৭১০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

বেশির ভাগ প্লটই এখনও খালি পড়ে আছে। আর যেসব প্লটে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোরও এখন রুগ্ন দশা। ফলে বিকশিত হচ্ছে না এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য।

রাজশাহী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির (নাসিব) সভাপতি লিয়াকত আলী বাংলানিউজকে জানান, বিসিক এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করে অনেকে পুঁজি হারিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অনেকে এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, অনেকে প্লট বরাদ্দ নিয়েও ব্যাংকঋণের অভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেননি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্র জানায়, ১৯৫৭ সালে দেশের কুটির শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয় বিসিক। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে গড়ে তোলা হয় বিসিক নগরী ও কার্যালয়। উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রায় ৪৪৬ একর জমি নিয়ে ১৭টি বিসিক নগরী গড়ে তোলা হয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় নগরী পাবনায়। এর আয়তন ১০৩ দশমিক ৩০ একর। এখানে এ পর্যন্ত গড়ে উঠেছে ১৩৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ৯৬ একর জমিতে রাজশাহী বিসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে ১৭৯টি প্রতিষ্ঠান।

উত্তরাঞ্চলে ২ হাজার ৩০০ প্লটের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৯৪টি প্লট।

এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিসিক এলাকায় ১০ একর জমির ওপর ৪৮টি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। পঞ্চগড়ে ১৫ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা বিসিকে ৯৬টি প্লট থাকলেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯টি। সেখানে আছে মাত্র ১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। বাকি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জায়গা ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ফাঁকা পড়ে আছে। নওগাঁয় ১৫ দশমিক ১৪ একর জমিতে গড়ে ওঠা বিসিক এলাকায় ৮১ প্লটের সবগুলো বরাদ্দ হলেও গড়ে ওঠেনি তেমন কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান।

উত্তরাঞ্চলের বিসিক এলাকাগুলোর মধ্যে শুধু বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সব প্লটে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও অন্য ১৫টিতে বিনিয়োগে আগ্রহ নেই উদ্যোক্তাদের।

বিসিক-এর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ব্যবসায়ীরা অবকাঠামোর অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারছে না। এ জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে তাদের সমস্যা সমাধান এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। সেগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।