ঢাকা: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কলমানির সুদের হার। রোববার আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনে (কলমানির) সুদের হার ছিল সর্বোচ্চ সাড়ে ৩০ শতাংশ।
একদিনের ব্যবধানে কলমানির সুদের পরিমান বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। বাজারে তারল্য সংকট দেখা দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, রোববার আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে কলমানির সুদের হার ছিল সর্বোচ্চ ৩০.৫০ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ছিল ৫ শতাংশের কাছাকাছি। সুদের হার বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সিআরআর ও এসএলআর জমার পরিমান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একাধিক ব্যাংক পল্লা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করছে। কারণ আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা জমা প্রদান করতে হবে।
কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংকেই পর্যাপ্ত নগদ অর্থ নেই। কারণ পুঁজিবাজার বা অন্য খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত সুদে নগদ অর্থ আদায় সংগ্রহ করছে একাধিক ব্যাংক। ফলে বেড়েই চলেছে কলমানির সুদের হার।
এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিআরআর ও এসএলআর জমার পরিমান বাড়ানোর ফলেই কলমানির সুদের হার বেড়েছে। এছাড়া ডিসেম্বর মাস হওয়ায় ব্যাংকগুলো অধিক ডিপোজিট দেখানোর জন্যেও উচ্চ সুদে নগদ অর্থ সংগ্রহ করছে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগ করছে। মোটকথা বাজারে নগদ টাকার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণেই কলমানির সুদের হার বাড়ছে।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এলসি পেমেন্ট দেওয়া, বিভিন্ন বিল প্রদান করা, ডিপোজিট সংগ্রহ করা এবং সিআরআর ও এসএলআর-এর অর্থ সংগ্রহ করার লক্ষ্যে একাধিক ব্যাংক অতিসুদে কলমানি থেকে নগদ অর্থ ধার করছে।
তিনি আরও বলেন, কলমানি থেকে অতিরিক্ত সুদ আদায় করা ঠিক না। কিন্তু কিছু বেসরকারি ব্যাংক অতিরিক্ত সুদ আদায় করছে মুনাফা অর্জনের জন্য। যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মৌখিকভাবে নজরদারি করছে।
তিনি জানান, ১৯ শতাংশ সিআরআর জমা দিতে হবে বলেও উচ্চ সুদে নগদ অর্থ সংগ্রহ করছে ব্যাংকগুলো। তবে এতে ব্যাংকিং খাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১০